বাংলা হান্ট ডেস্ক : তাঁকে গ্রেফতার পুলিস। সেই গ্রেফতার নিয়ে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। জামিনও পেয়ে গেছেন কাঁথি (Contai) পুরসভার ওই ঠিকাদার। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পাণ্ডার (Ramchandra Panda) এবার জামিন পাওয়ার পর বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন।
রামচন্দ্র দাবি করেন, তাঁকে গ্রেফতার করার পর চাপ দেওয়া হয় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বয়ান দিতে। পুলিসের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, টেবিলে বন্দুক রেখে বলা হয় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বয়ান দিতে। নাহলে একাধিক মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় খোদ পুলিস। অবশ্য কাঁথির এসডিপিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
গত ২৮ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হন রামচন্দ্র পাণ্ডা। দারুয়া ফ্রেন্ডস সমবায় সমিতির সভাপতি কাকলি পাণ্ডার অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিস গ্রেফতার করে রামচন্দ্রকে। তাঁর আইনিজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জামিনের আবেদন করে। এরই সঙ্গে অভিযোগ করা হয়, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস কাকলি পাণ্ডার উপর চাপ তৈরি করে মিথ্যে অভিযোগ করতে বাধ্য করেছে। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার হন রামচন্দ্র।
গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে আসেন কাকলি পাণ্ডা। তিনি বলেন, কেউ বা কারা তাঁকে জোর করে একটা কাগজে সই করিয়ে নেয়। তারপর থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করে। এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে রামচন্দ্র পাণ্ডার জামিনও মঞ্জুর করা হয়। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ রায় দেয়, রামচন্দ্র পাণ্ডা ও কাকলি পাণ্ডাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিয়ে রাখতে হবে। আদালত এদিন জানায়, যে অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্র পাণ্ডাকে গ্রেফতার করা হয় তার প্রতিলিপি সিবিআইকে দিতে হবে। তারপর সিবিআই অভিযোগ দায়ের করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করবে।