বাংলা হান্ট ডেস্ক : চাঞ্চল্যকর ঘটনা হাওড়ায় (Howrah)। আবারও পাওয়া গেল জঙ্গির খোঁজ। কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে দুই যুবককে গ্রেফতার করল কলকাতার এসটিএফ (STF)। জানা যাচ্ছে, ইসলামিক স্টেটের (ISIS) মতো একাধিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে প্রচার চালাত দুই অভিযুক্ত। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়ের মগজ ধোলাই করে তারা। তারপর টেনে নেয় জঙ্গি সংগঠমে। মনে করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে পাকিস্তান-মধ্য এশিয়ার একাধিক দেশের হ্যান্ডলারদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ধৃত দুই অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আবেদন জানিয়েছে পুলিস।
হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার আফতাবউদ্দিন মুন্সি লেনের বাসিন্দা গল মহম্মদ সাদ্দাম। সে বেশ উচ্চশিক্ষিত। এম টেক করেছে। তার সঙ্গীর নাম সঈদ হোসেন। দুজনে মিলে হাওড়ায় বসে যুব সম্প্রদায়ের মগজ ধোলাই করে দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত করার কাজ করে।
শুক্রবার রাতে টিকিয়াপাড়ার ঘিঞ্জি গলি থেকে জঙ্গি সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। ধৃতের বাবার নাম মোকারাম মল্লিক। তিনি রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। এক প্রতিবেশী রোশন আলি জানালেন, শুক্রবার রাতে সাদা পোশাকে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে এলাকায় পাঁচতলা আবাসনের তিনতলার ফ্ল্যাটে থাকত ধৃত। এলাকায় বেশ ভাল মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিল সে।
এসটিএফের বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী, কট্টরপন্থী মৌলবাদের প্রচার করত ধৃতরা। যুব সম্প্রদায়ের মগজধোলাই করে তাদের জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত করাই ছিল প্রধান লক্ষ্য। দেশবিরোধী কাজে উসকানি দিতে বিস্ফোরণ, নারকীয় হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে দিত তারা। বহু যুবকই তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। মনে করা হচ্ছে, মহম্মদ সাদ্দাম ও সঈদ হোসেনের পিছনে বড় কোনও মাথা রয়েছে।