বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: গতকাল ব্যাট হাতে সূর্যকুমারের (Suryakumar Yadav) ব্যাটিং-বিক্রম দেখে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েছে। রাজকোটের (Rajkot) পিচে শ্রীলঙ্কার বোলারদেরকে স্কুল স্তরে নামিয়ে এনেছিলেন স্কাই। তার ব্যাটের তান্ডবের হাত থেকে রক্ষা পায়নি কোনও শ্রীলঙ্কান বোলার। পেসারদের বিরুদ্ধে স্কুপে হোক বা স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্টেপ আউটে, কোনওক্ষেত্রেই একবারের জন্যেও বেকায়দায় পড়তে দেখা যায়নি স্কাইকে।
ভারতীয় ও নিরপেক্ষ ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে তার এহেন ব্যাটিং যতই উপভোগ্য মনে হোক না কেন, বিপক্ষ দলগুলির সমর্থক এবং বোলারদের কাছে এ বড় চিন্তাজনক দৃশ্য। গতকাল শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে অনেককে দেখে মনে হয়েছে যে স্কাইয়ের সামনে তারা হাল ছেড়ে দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কান বোলারদের মনের অবস্থা বুঝতে পেরেছেন ভারতের তারকা লেগস্পিনার যজুবেন্দ্র চাহালও।
এবার চাহাল ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি জিতে ভারতের সিরিজ দখলের পরে একটি মজাদার কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে তিনিও একজন বোলার হিসাবে সূর্যকুমারের এমন বিধ্বংসী রূপ দেখে কিছুটা অস্বস্তিতে ভোগেন। তারপর তিনি বলেছেন, “আমি খুব খুশি এইজন্য যে আমি আর সূর্যকুমার যাদব একই দলে খেলি। আমি এই দুর্ভোগ এড়াতে পেরেছি।” চাহালের সঙ্গে সহমত হয়েছেন হার্দিক পন্ডিয়াও। তিনিও বলেছেন, “আমি যদি বিপক্ষের বোলার হতাম, তাহলে ওর ব্যাটিং দেখে আমারও মন ভেঙে যেত।” এই বক্তব্যগুলি থেকেই পরিস্কার যে একজন ব্যাটার হিসাবে ঠিক কতটা প্রভাবশালী সূর্যকুমার।
সূর্যকুমার যাদবের শট সিলেকশন দেখে কালকে সকলেই অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন। যেভাবে শুরু থেকে ইনিংসের শেষ বল অবধি অফস্টাম্পের বাইরের বল গুলিকে স্কুপ করে ডিপ স্কোয়ার লেগ বা ফাইন লেগ বাউন্ডারির সীমানা পার করালেন, তা দেখে অনেকেরই এবি ডিভিলিয়ার্সের কথা মনে পড়ে যাবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অর্থাৎ দেশের হয়েও বোধহয় টি-টোয়েন্টি এতটা ধারাবাহিক কোনওদিনই ছিলেন না মিস্টার ৩৬০°।
তবে গতকাল তিনি আগ্রাসী ব্যাটিং করে শতরান করলেও ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম শতরানের রেকর্ডটি এখনো রোহিত শর্মার দখলেই রয়েছে। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাত্র ৩৫ বলে শতরান করেছিলেন রোহিত। তবে ভারতীয়দের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে লোকেশ রাহুলের শতরান সংখ্যাকে (২) টপকে গেলেন সূর্যকুমার। তার বর্তমান ধারাবাহিকতা আর দু’বছর বজায় রাখতে পারলে ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি শতরানের রেকর্ডটিও নিজের নামে করে নেবেন স্কাই।