বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানে আরও গুরুতর হচ্ছে অর্থসঙ্কট (Pakistan Economic Crisis)। যত দিন যাচ্ছে, আর্থিক সঙ্কট বৃদ্ধি পাচ্ছে সে দেশে। তার উপর মুদ্রাস্ফীতির কারণে সমস্যায় পড়েছেন সেখানকার মানুষ। সেখানে খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। সাধারণ দুধ বা চালের দামও এতটাই বেড়ে গিয়েছে, মানুষের পেটে টান পড়েছে।
সমস্ত জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম হয়ে গিয়েছে। ফলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। আটার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও চলে গিয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের পরিস্থিতির কিছু ছবি দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, রুটি জন্য নিজেদের জীবন বিপন্ন করতে প্রস্তুত মানুষ।
সেখানে এক বস্তা আটার জন্য নিজেদের মধ্যে মারপিট করছেন পাকিস্তানের নাগরিকরা। এছাড়াও, টাকা হাতে মানুষকে ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে আটা ভর্তি লরির পেছনে। এই মুহূর্তে পাকিস্তানে কেজি প্রতি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আটা। পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, ডিসেম্বর ২০২২-এ মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২৪.৫ শতাংশ। ডিসেম্বর ২০২১-এ এটি ছিল ১২.৩ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে দ্বিগুণ হয়েছে মুদ্রাস্ফীতি।
মূলত খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই হারে বেড়ে গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। এক বছরে খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি ১১.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩২.৭ শতাংশ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত এক বছরে সেখানে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৩৬.৭ পাকিস্তানি রুপি থেকে বেড়ে হয়েছে ২২০.৪ পাকিস্তানি রুপি প্রতি কেজি। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২১০.১ পাকিস্তানি রুপি থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮৩.৫ পাকিস্তানি রুপি। এছাড়াও নুনের দাম কেজিপ্রতি ৩২.৯ পাকিস্তানি রুপি থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৯.১ পাকিস্তানি রুপি।
অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের দামও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। বাসমতি চালের দাম কেজিপ্রতি ১০০.৩ পাকিস্তানি রুপি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৬.৬ পাকিস্তানি রুপি। এক লিটার সরষের তেলের দাম ৩৭৪.৬ পাকিস্তানি রুপি থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৩২.৫ পাকিস্তানি রুপি। পাকিস্তানে ১ লিটার দুধের দাম ছিল ১১৪.৮ পাকিস্তানি রুপি। সেই দামই বেড়ে হয়েছে ১৪৯.৭ পাকিস্তানি রুপি প্রতি লিটার। এই পরিস্থিতিতে আটার দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের রুটি খেতেও সমস্যা হচ্ছে। সেখানে রুটির দাম ৬৫.১ পাকিস্তানি রুপি থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৯ পাকিস্তানি রুপি।