টাটা সমেত এই ভারতীয় কোম্পানি গুলোর রয়েছে পাকিস্তানে বড় ব্যবসা! এবার কী হবে? চিন্তায় কর্ণধাররা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: চূড়ান্ত অর্থনৈতিক সমস্যায় (Pakistan Economic Crisis) জর্জরিত পাকিস্তান। মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি এতটাই বড় আকার নিয়েছে যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির হার যেখানে ৪ থেকে ৬ শতাংশ থাকার কথা, পাকিস্তানে সেই হার ৩০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। এমনকী, বিদ্যুতের খরচ দেওয়ার মতোও অবস্থায় নেই সেই দেশ। আর মাত্র ৩ সপ্তাহের জ্বালানি  মজুত রয়েছে। তারপরেই অন্ধকারে ডুবে যাবে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র।

এই অবস্থায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ পাকিস্তানি নাগরিকরা। গিলগিট বাল্টিস্তানে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন মানুষ। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপর ভর্তুকি লাগু করার দাবিও তুলেছেন তাঁরা। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চায় গিলগিট বাল্টিস্তান। আম নাগরিকরা ভর্তুকি লাগু করার দাবি তুললেও এক্ষেত্রে সরকার কিছু করতে অপারগ।

ratan tata tension

ভর্তুকি দিতে সরকারকে যে পরিমাণ খরচ বহন করতে হবে, সেই অর্থই নেই পাক সরকারের কাছে। এর মধ্যে শুধু মানুষই নন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের ব্যবসাও। এই অর্থনৈতিক সমস্যার জেরে শুধু পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠানই নয়, কিছুটা হলেও প্রভাবিত হচ্ছে কয়েকটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানও। এর মধ্যে রয়েছে টাটা গ্রুপ। এই প্রতিষ্ঠান শুধু ভারতই নয়, পাকিস্তানেও ব্যবসা করে। সেখানে টেক্সটাইলের ব্যবসায় টাটা একটি বড় নাম। ১৯৯১ সালে টাটা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড পাঞ্জাব প্রদেশের মুজাফফরগড়ে তাদের প্রথম সুতির কারখানা খোলে।

sajjan jindal

এক সময় ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টিল সংস্থা জিন্দল স্টিল ওয়ার্কসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সজ্জন জিন্দলেরও বড় ব্যবসা ছিল পাকিস্তানে। ভারতীয় এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। স্টিল ছাড়াও এই গ্রুপ এনার্জি সেক্টরেও সক্রিয়। পাকিস্তানে এই গ্রুপের বেশ কিছু ব্যবসা রয়েছে। এই অর্থনৈতিক সমস্যার ফলে সেই ব্যবসাতেও কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

পাকিস্তানে আরও একটি ভারতীয় কোম্পানি রয়েছে। সেটি হল সরবত প্রস্তুতকারক সংস্থা রুহ আফজা। এখন পাকিস্তানে ব্যবসা করলেও এটির শুরু হয়েছিল ভারতেই। হাকিম হাফিজ আব্দুল মজিদের হাত ধরে ১৯০৬ সালে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে এই সংস্থার পথচলা শুরু হয়। পাকিস্তানে চলা এই অর্থনৈতিক সমস্যার প্রভাব এই সংস্থার উপরেও পড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এই সমস্যার প্রভাব খুব বেশি পড়বে না ভারতের উপর। কারণ পাকিস্তানের থেকে তেমন কিছু আমদানি করে না ভারত। এছাড়াও রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক খুব জোরালো নয় ভারতের।  

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর