বাংলাহান্ট ডেস্ক : বনদপ্তরের (Forest department) পক্ষ থেকে গত শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) খোয়ারডাঙা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) উপপ্রধান জেমস বোরোগাঁকে গ্রেপ্তার (Arrested) করা হয়। হঠাৎ করেই শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে শোরগোল শুরু হতেই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে তৃণমূল নেতার এই গ্রেপ্তারির কারণ কী? বন দফতরের অধিকারিকদের দাবী ছিল যে, তিনি প্যাঙ্গোলিন নামের একটি বিলুপ্ত প্রায় একটি জীবন্ত প্রাণীকে বিক্রি করতে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
বন দফতর আধিকারিক এবং বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা পরভীন খাসোয়ান জানান যে, ‘প্যাঙ্গোলিন বিক্রির ছক কষেছিলেন ওই ব্যাক্তি। ক্রেতা সেজে তাঁকে পাকড়াও করা হয়েছে। এর পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে’। বন দফতরের আধিকারিকরা আরও জানান যে, এই জেমস খোয়ারডাঙা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার উত্তর নারারথলীতেই থাকতেন। কিন্তু যখন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় তিনি তখন তিনি এনএইছ৩১ সি -এর পূর্ব রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জ এবং নিমাতি রেঞ্জের কাছাকাছি একটি অঞ্চলে উপস্থিত ছিলেন।
তাঁর এই প্যাঙ্গোলিন বিক্রির ব্যবসাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং বিরোধী দলগুলিও একের পর এক কটাক্ষ করতে থাকেন। বন্যপ্রাণীদের জন্য ১৯৭২ যে সুরক্ষা আইন প্রণয়ণ করা হয়, তা অনুযায়ী প্যাঙ্গোলিন একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। এই প্রাণীকে উদ্ধার করার পর থেকেই জেমসকে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ কাস্টাডিতে এবং সেখানেই তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ চলে। আজ তাঁকে আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের তোড়জোড় শুরু হয়েছে সেখানেও। এই ঘটনায় তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে জেমসের বিরোধী দলের কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও বলেন যে, তৃণমূলের স্বভাবই হলো চুরি করা। যদি কোনো সভা হয়, এঁরা সেখান থেকে ত্রিপল চুরি করে। এছাড়া বালি, সিমেন্ট তো হামেশাই চুরি যাচ্ছে। আর এখন তাঁরা এইসব নিরীহ বন্য প্রাণীদেরকেও ছাড়ছেন না।