বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের স্কুলে চাকরি (job in school) দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ। এবার নাম জড়াল খোদ তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA)। পূর্ব বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরের বাসিন্দা কপিলদেব সেন অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালে বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথকুমার মালিক প্রাথমিক স্কুলে (school) চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিয়ে তাঁর কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নেন। পাশাপাশি জমা রাখেন অ্যাডমিট কার্ড ও মার্কশিট। কিন্তু এতদিন পরেও চাকরির দেখা নেই। ফেরত পাননি টাকা। এমনকি তাঁর মূল্যবান নথিও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
কপিলদেব সেনের এই অভিযোগ বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান। তিনি ওই নিশীথ মালিকের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। কপিলদেব সেন জানান, বিধায়ক নিশীথ মালিক তাঁকে ফোন করে বলেন প্রাইমারিতে চাকরি হয়ে যাবে। এর জন্য মোট ছ’লক্ষ টাকা দিতে হবে। তখনকার মতো আড়াই লক্ষ টাকা চান। বাবার থেকে নিয়ে সেই টাকা দেন কপিল। কপিল বলেন, ‘টাকা দেওয়ার পাশাপাশি আমার মূল মার্কশিট ও অ্যাডমিট কার্ডও চেয়ে নেন বিধায়ক। তারপর থেকে বারবার আমাকে চাকরি হয়ে যাবে বলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু চাকরি আর হয়নি। অ্যাডমিট কার্ড-মার্কশিটও আর ফেরত পাইনি।’
এই প্রসঙ্গে বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি সমস্তটাই মিথ্যা রটনা। বলেন, ‘আমি ১৬ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছি। অভিযোগ ২০১৫ সালের। তবে অভিযোগকারী কপিলদেব সেনকে চিনি। প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করব আমি। নুরুল হাসানের বিরুদ্ধেও দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাব।’
এই বিষয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলও। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয়চন্দ্র বলেন, ‘বিজেপি যে অভিযোগ আগে করেছে, এখন তৃণমূল কংগ্রেসের একটা অংশ সেই অভিযোগই তুলছে। টাকা দিয়ে চাকরি হয়েছে, এটা প্রমাণিত। এরসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক, নেতা সবাই জড়িত।