বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে (PTI) দেওয়া সাক্ষাৎকারে শনিবার এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। নোবেলজয়ীর এই মন্তব্যর পরেই শোরগোল পরে গেছে রাজনীতির অন্দরে। বিরোধীমহলে শুরু হয়েছে নানা তর্ক-বিতর্ক। তবে অমর্ত্য সেনের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু না বললেও মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পর্যবেক্ষণকে সমর্থন করে বলেন, ‘‘তাঁর উপদেশ আমাদের কাছে আদেশ।’’
ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেত্রী? এ বিষয়ে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অমর্ত্য সেন বিশ্ববরেণ্য পণ্ডিত, আমাদের অন্যতম গর্ব। তাঁর পর্যবেক্ষণ আমাদের পথ দেখায়। তাঁর উপদেশ আমাদের কাছে আদেশ। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন নিশ্চয় সবাইকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।’’
তাঁর সংযোজন ,‘‘বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলির উত্থান এবং গুরুত্ব অমর্ত্য সেন বুঝেছেন বলেই এ ব্যাপারে তিঁনি তাঁর বক্তব্য জানিয়ে সজাগ করতে চেয়েছেন। বিজেপি শুধু যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরেই আঘাত হানছে না যে সব রাজ্যে বিরোধী দলের সরকার রয়েছে তারা সেখানে নানা ভাবে দলীয় এবং দিল্লির ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে তাদের উপর ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ হানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অমর্ত্য সেন তাঁর পর্যবেক্ষণের মধ্যে বিরোধী দলগুলির আগামী কর্তব্য সম্পর্কেও কিছুটা দিকনির্দেশ করেছেন। সেখান থেকে আমাদের সকলেরই শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে মনে করি।’’
তবে নোবেলজয়ীর এই মন্তব্য মানতে নারাজ রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এই বিষয়ে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘অমর্ত্য সেন যদি এই স্বপ্ন দেখেন ওঁকে বলব, আপনি মমতাকে আশীর্বাদ করুন।’’ পাশাপাশি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘সারা দেশের রাজনীতিতে যে কয়েকটা নাম নিয়ে প্রচার ও আলোচনা হয়, তার মধ্যে নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই আছেন। তার কারণ অর্থ আর প্রচার। কিন্তু মূল প্রশ্ন হল, বিজেপি-বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা। তৃণমূলের ভূমিকা কি সেই লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ?’’ অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন মমতাও দেখেন। অমর্ত্যবাবু ঠিকই বলেছেন যে, বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ এবং বিভিন্ন শক্তিকে তৃণমূলনেত্রী এক জায়গায় আনতে পারবেন কি না, সেটাই প্রশ্ন।’