বাংলা হান্ট ডেস্ক: ডাক্তারের ভুয়ো (Fake Doctor) ডিগ্রি দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে রোগীদের চিকিৎসা করছিলেন এক মহিলা। শুধু তাই নয়, সব মিলিয়ে তিনি মোট ১০ কোটি টাকারও বেশি আয়ও করে ফেলেন। যদিও, শেষপর্যন্ত সমস্ত জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেল তাঁর। পাশাপাশি, এই ঘটনা সামনে আসার পরই আদালতে ওই মহিলার বিরুদ্ধে জালিয়াতির একাধিক অভিযোগে শুনানি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনি ২০ বছর ধরে সাইকিয়াট্রিস্ট হিসাবে চিকিৎসা করেছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার ক্রাউন কোর্টে চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস করা ঝোলিয়া আলেমি নামের ওই মহিলা একাধিক গুরুতর অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন। এমতাবস্থায়, ঝোলিয়া দাবি করেছেন যে, তিনি নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত পড়াশোনা করেছেন। যদিও, তাঁর এই দাবি ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে প্রসিকিউটর ক্রিস্টোফার স্টেবলস আদালতে জেরা করার সময় বলেছিলেন যে ঝোলিয়া নিজেকে সৎ বলে দাবি করলেও তিনি একজন প্রতারক। পাশাপাশি, তিনি জালিয়াতিও করেছেন। ক্রিস্টোফার আদালতকে জানিয়েছিলেন, ঝোলিয়া ডিগ্রি জাল করে সেটিকে ১৯৯৫ সালে যাচাইয়ের জন্য জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিলের (GMC) কাছে পাঠিয়েছিলেন। যাতে তিনি ব্রিটেনে একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন।
ডাক্তারের ভুয়ো ডিগ্রি নিয়েই ২০ বছর ধরে চিকিৎসা করে ১০ কোটি টাকা রোজগার করেন তিনি: উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ঝোলিয়ার বয়স হল ৬০ বছরের কাছাকাছি। তিনি ব্রিটেনের বার্নলি শহরে বসবাস করেন। ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে, তিনি একাধিক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে সাইকিয়াট্রিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন এবং প্রচুর অর্থও উপার্জন করেন। ক্রিস্টোফার আদালতে দাবি করেছেন যে, ডাক্তারের ভুয়ো ডিগ্রি নিয়েই ঝোলিয়া ১০ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছেন।
এই প্রসঙ্গে “বিবিসি”-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝোলিয়া ইরানের রাজধানী তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু ১৯৮৬ সালে নিউজিল্যান্ডে পেশ করা তার নথিগুলি থেকে জানা গিয়েছে যে, তিনি পরের বছরই বিয়ে করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি একজন নার্স হিসেবে তার পেশা তালিকাভুক্ত করেন। এদিকে, আদালতের শুনানির সময়ে, ঝোলিয়া তাঁর নামে চলা ১৭ টি মামলার সবকটিকেই অস্বীকার করেন। এমতাবস্থায়, জানা গিয়েছে এই শুনানি আরও ৫ সপ্তাহ যাবৎ চলবে। তারপরেই শাস্তি ঘোষণা হবে তাঁর।