বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। ভোটের নিঘন্ট এখনও ঘোষণা না হলেও ইতিমধ্যেই বেজে গেছে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। জমি শক্ত করতে আটঘাট বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। চলছে জয়ের প্রস্তুতি। এই অবহেই এবার ফের একবার প্রকাশ্যে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল। ব্লক তৃণমূলের (Trinamool Congress) নয়া কমিটি গঠন হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল দলেরই কর্মীরা। পদ পেয়ে তা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই দ্বন্দ্ব চরমে। এমনকী নতুন কমিটিকে মেনে না নেওয়ার হুঁশিয়ারিতেও সরব নতুন পদাধিকারীরাই।
সূত্রের খবর, গত শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন ব্লক তৃণমূলের নতুন কমিটি কমিটি ঘোষণা করে খানাকুল (Khanakul) ২ নং ব্লক তৃণমুল। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। অভিযোগ, খানাকুল ২ তৃণমূল ব্লক সভাপতি অনুপ মাইতি ও জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই নতুন কমিটি গঠন করেছেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদেই নতুন কমিটি গ্রহনযোগ্য নয় বলে বয়কটের দাবি তুলেছেন বিক্ষুব্ধ নতুন পদাধিকারীরাই। হ্যা, এক্কেবারেই নজিরবিহীন এই ঘটনাই এদিন প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। একদিকে যখন বাংলার নানা প্রান্ত থেকে পদ, ক্ষমতা পাওয়ার দাবিতে প্রতিনিয়ত শাসকদলের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ উঠে আসছে, সেখানে অন্যদিকে একেবারে বিপরীতমুখী এই ঘটনায় রীতিমতো হতবাক সকলে।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “যারা সত্যিকারের তৃণমূলের জন্য করেছি তাঁদের নাম আসেনি। একসময় বিজেপির ভয়ে বেরতে পারতাম না। যিনি ধীরে ধীরে দল গঠন করেছিলেন তাঁকেই বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করেছে অনুপ মাইতি।” অন্যদিকে অভিযুক্ত অনুপ মাইতি সাফাই দিয়ে বলেন, “এটা দলের নির্দেশ। দলের নির্দেশ সকলে মানতে হবে। নাহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করা হবে।”