বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয় থাকেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর মতামত নিয়ে চর্চাও হয়। সমালোচনা, নিন্দা, কটাক্ষ তাঁর কাছে নতুন নয়। ভুয়ো খবরও একাধিক বার রটেছে তাঁর নামে। একবার ফেসবুকে মৃত্যুর ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল তসলিমাকে। কিন্তু এবারে ব্যাপারটা অন্য রকম। এবারে তিনি নিজেই নিজের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন।
সম্প্রতি কিছু অদ্ভূত ধরণের পোস্ট দেখা যাচ্ছিল তসলিমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। প্রথমে তিনি লেখেন, ‘গতকাল ঠিক এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে আমার। এখন ফিউনারেল চলছে’। তারপরেই অন্য একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করা হয়েছে’।
এখানেই শেষ নয়। আরো কিছু নথি এবং বডি ডোনার পকেট কার্ডের ছবিও শেয়ার করেন তসলিমা। সেই সমস্ত ছবি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে দিল্লির এইমস হাসপাতালে মরণোত্তর দেহদান করেছেন তিনি। এই পোস্টের কিছুক্ষণ পরেই দুটি ছবি শেয়ার করেন তসলিমা। দুটি ছবিতেই তিনি হাসপাতালের বেডে শায়িত।
প্রথম ছবিতে লেখিকার পরনে হাসপাতালের পোশাক। বেডে আধশোয়া হয়ে রয়েছেন তিনি। মুখে হালকা হাসি নিয়ে তাকিয়েছেন ক্যামেরার দিকে। তাঁর বেডের দুপাশে আরো কিছু মানুষজনকে দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় ছবিতে চোখ বুজে বেডে শুয়ে রয়েছেন তসলিমা। তাঁর মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরানো।
না, এই পোস্টে কোনো ক্যাপশন দেননি লেখিকা। তাঁর কী হয়েছে সেটাও স্পষ্ট নয়। স্বাভাবিক ভাবেই কমেন্ট বক্সে ভিড় করেছেন শুভানুধ্যায়ীরা। সকলেরই একটাই প্রশ্ন, কী হয়েছে লেখিকার? তসলিমা নাসরিনকে এমন ভাবে দেখতে ভাল লাগে না। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন তিনি। এখনো অনেক কাজ বাকি, মন্তব্য করেছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাখি সাওয়ান্তের নিকাহ এবং ধর্ম পরিবর্তন নিয়ে নিজস্ব মত দিয়েছিলেন তসলিমা। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘রাখি সাওয়ান্তকে পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করতে হল, কারণ তিনি এমন একজনকে বিয়ে করেছেন যিনি মুসলিম। অন্য ধর্মের মতো ইসলামেরও এবার বিকশিত হওয়া দরকার এবং মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে বিয়ে গ্রহণ করা উচিত’।
অপর একটি টুইটে আবারো স্বধর্মকে কটাক্ষ করে তিনি লিখেছিলেন, ‘ইসলামের বিকশিত হওয়া উচিত আর সমালোচনা, বাক স্বাধীনতা, পয়গম্বরের কার্টুন, নারীর সমানাধিকার, নাস্তিকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, যুক্তিবাদ, অমুসলিমদের অধিকার, মানবাধিকার, সভ্যতার মতো বিষয়গুলি গ্রহণ করা উচিত। নয়তো আধুনিক সমাজে এর কোনো জায়গা থাকবে না’।