বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যবাসীর সুচিকিৎসার জন্য বড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর। এবার পাড়ায় পাড়ায় গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছে যাবেন জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctors) , ডাক্তারি পড়ুয়ারা। সোমবার পিজি হাসপাতালের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেখানের মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসক ও অধ্যাপকদের কাছে অভাবনীয় এই প্রস্তাব রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
শহরের পাশাপাশি গ্রামের গ্রামের মানুষদের চিকিৎসাজনিত সমস্যা নিরসনে এবার হবু চিকিৎসকদের জন্য বড় প্রস্তাব আনলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গ্রামের মানুষদের সঙ্গে থেকে, তাঁদের জীবনশৈলী, প্রয়োজন বুঝে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিক রাজ্যের ভাবি ডাক্তাররা। এমনটাই ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতই এবার সেইসব হবু চিকিৎসকদের নিয়মিত গ্রামে পাঠানোর পরামর্শ দিলেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন এই প্রসঙ্গে আবেগঘন হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ‘একলা’ বাবা-মায়েদের কথা মনে করে বলেন, “বাবা-মা সন্তান মানুষ করতে জীবনের ২০-২৫ বছর ব্যয় করেন। কিন্তু শেষ জীবনে একা থাকতে হয়। এই সব আমার ভালো লাগে না।” সেজন্য ভিনরাজ্যে বা দেশের বাইরে পড়তে গেলেও পড়াশোনা শেষ করে পড়ুয়াদের রাজ্যে ফিরে আসারই অনুরোধ জানালেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিঁনি বলেন, “দু’টাকা কম রোজগার হতে পারে। কিন্তু কলকাতা বা রাজ্যে পাঁচ টাকায় যেমন মা ক্যান্টিনে পেট ভরে খাবার পাওয়া যায়, তেমনই বিনা পয়সায় রেশন পাওয়া যায়। পাওয়া যায় বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরিষেবা। এই ব্যবস্থা দেশের আর কোনও রাজ্যে পাওয়া যায় না।”
অনুষ্ঠানে দাড়িয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রশংসায় ভরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাতে হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিঁনি বলেন, “হার্ট অ্যাটাক আর দুর্ঘটনা মাঝরাত আর ভোরবেলা হয়। সেই সময় কেউ থাকে না। ডাকলেও পাওয়া যায় না।কিন্তু হাসপাতালে জুনিয়র আর সিনিয়র ডাক্তাররা থাকেন। পরিষেবা দেন।”
পাশাপাশি এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে একজোটে কয়েকটি নতুন প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নয়া প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে পুলিশ হাসপাতালে ১.৫ টেলসা এমআরআই ইউনিট, রেডিও থেরাপি বিভাগের সেমিনার হল, হেড নেক সার্জারি বিভাগের ১০ টি আইসিইউ, একাধিক গ্যাংওয়ে সহ আরও একাধিক পরিষেবা।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…