নেই শিক্ষক, পড়ুয়া! হাওড়ার ১৬টি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে পাকাপাকিভাবে তালা ঝোলানোর ভাবনা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বহুদিন ধরেই শিকেই উঠেছে পড়াশোনা। স্কুলে (School) না আছে শিক্ষক (Teacher) , না আছে পর্যাপ্ত পড়ুয়া (Students) । সবমিলিয়ে হাওড়ার (Howrah) ১৬ টি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের একেবারে বেহাল দশা। তাই এবার সেই শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পাকাপাকিভাবে তালা ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই, রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাছে স্কুল বন্ধের প্রস্তাব পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ওই দফতরের তরফে গ্রিন সিগন্যাল আসা পর্যন্তই অপেক্ষা।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, কোনও শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে পড়ুয়ার সংখ্যা কম হলেই নিয়মানুযায়ী সেটা বন্ধ করতে হবে। যদিও, এর আগে পড়ুয়ার সংখ্যা কম থাকার জন্য কখনও কোনও শিশু শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধ করার দরকার হয়নি, তবে এক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগও একপ্রকার স্থগিত হওয়ার জন্য এই প্রথম একসঙ্গে এতগুলি কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। জেলা পরিষদের শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মাধ্যক্ষ শ্রীধর মণ্ডল বলেন, ‘‘যে ১৬টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই সব কেন্দ্রের পড়ুয়াদের কাছের প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হবে। এই সব কেন্দ্রের শিক্ষকদের অন্য শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে বদলি করে দেওয়া হবে।’’

সূত্রের খবর, ২০০০ সালের শুরুতে শিশুশিক্ষাকেন্দ্রগুলি স্থাপন করা হয়। আর পাঁচটা প্রাথমিক স্কুলের পরিকাঠামোর মত করেই প্রায় সব বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। পঠন পাঠন থেকে শুরু করে মিড ডে মিল সরবরাহের ক্ষেত্রেও অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতই ব্যবস্থা ছিল এই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতেও। সব নীতি মেনে জেলার প্রায় ২৫৬ টি শিশুশিক্ষাকেন্দ্র চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরকে। এমনকি, বছর দু’য়েক আগে পর্যন্ত পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর এই সব কেন্দ্রে শিক্ষক নিয়োগ করত।

তবে, বর্তমানে এই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলির পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে যায়। এমন অব্যবস্থার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় যে, তৈরি হওয়ার পর থেকে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। এরপর বহু শিক্ষক অবসর নিলেই সংখ্যা কমতে থাকে গুরু শিষ্যের। বছর দু’য়েক আগে পঞ্চায়েতের কাছ থেকে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রগুলির দ্বায়িত্ব শিক্ষা দফতর নিলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি।

School closed

এ বিষয়ে হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষের কথায়, ‘‘শিক্ষা দফতর ওই শিক্ষকদের বেতন দেয়। কিন্তু কেন সেখানে শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে না, সেটা নিয়ে মন্তব্য করতে পারব না।’’ তবে রাজ্য শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, শিশু শিক্ষাকেন্দ্রগুলি পঞ্চায়েতের থেকে তাদের হাতে চলে এলেও সেখানে নানা জটিলতা আছে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে। সেই কারণেই ফের পঞ্চায়েতের হাতে কেন্দ্রগুলিকে ফিরিয়ে দিতে চায় শিক্ষা দফতর।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর