বাংলাহান্ট ডেস্ক : সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। এর জেরেই সব কটি রাজনৈতিক দল সমান তালে নিজেদের প্রচার চালাচ্ছে। তৃণমূল (All India Trinamool Congress) এবং বিজেপি (Bharatiya Janata Party) কেউ কারোর জন্য এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজী নয়। যুদ্ধের প্রস্তুতিতে মেতেছে গোটা রাজ্য (West Bengal)। এর মধ্যেই মাঝে মধ্যেই শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোন্দল ছড়ালো এবার ক্যানিংয়ের (Canning) ইটখোলা গ্রামে। উপপ্রধান কে উদ্দেশ্য করে ছোড়া হলো ইট, শোনা গেল অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রামে অনুষ্ঠিত হলো ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দলের উপপ্রধান। সূত্রের খবর, সভা শেষ হতে না হতেই দুজন মদ্যপ যুবক উপ-প্রদানের দিকে ছুটে আসেন এবং তাঁকে উদ্দেশ্য করে ইট ছুড়তে থাকেন। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে তাঁরা অশ্লীল কুরুচিকর মন্তব্য করতে থাকেন। এভাবেই শুরু হয়ে যায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলীয় সূত্রে জানানো হয় যে এই দুই যুবক নাকি ওই উপপ্রধানের বিপরীত গোষ্ঠীর লোক হলেও অন্য দলের লোক নন। আবারও তৃণমূলের নিজের দলের এক গোষ্ঠীর লোকের সাথে অন্য গোষ্ঠীর লোকের লড়াই।
স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য অনুযায়ী, ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রামে যথারীতি দিদির সুরক্ষাকবচ নিয়ে ভালোই সভা চলছিল। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলীয় উপপ্রধান এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে খতিব সর্দার। হঠাৎ করে সভা শেষ হতেই দুই যুবক তেড়ে আসেন এবং দলীয় উপপ্রধানকে আশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তাদের দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো তারা মদ্যপ অবস্থায় আছেন।
গ্রামের লোকরা আরও জানান যে, হঠাৎ করেই ওই দুই যুবক উপপ্রধান এবং দলের অন্যান্য ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য করে ঢিল ছুড়তে শুরু করেন, এবং গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ ওতে ভয় পেয়ে সরে আসেন। এবং ওই দুই যুবককে থামাতেই তৃণমূলের নিজেদের কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বচসার সৃষ্টি করেন। তাঁরা আরও বলেন যে, উপপ্রধান খতিব সর্দারের সাথে তৃণমূলেরই ওপর গোষ্ঠী নেতা ইন্দ্র সর্দারের সম্পর্ক একদম ভালো নয়। তার জেরেই এই অশান্তির শুরু। তবে খবর পেয়ে পুলিশ আসলেও সকলেই তার আগে চম্পট দেন।