রেগে গিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে নাগ, ভাঙাতে আসে নাগিন! দুই সাপের কাণ্ড ঘিরে সন্ত্রস্ত গোটা গ্রাম

বাংলাহান্ট ডেস্ক: একটি নাগিনের উপর রাগ করে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে এল একটি নাগ। সেই নাগের রাগ ভাঙাতে একই গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নিল নাগিনটিও। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলার কুশলপুর গ্রামে। সাধারণত লোকালয়ে কোনও সাপ ঢুকে গেলে সেটির বেঁচে জঙ্গলে ফেরার আশা কমই থাকে। তাও নিজের প্রাণের পরোয়া না করেই নাগিনটি চলে গেল লোকালয়ে।

গ্রামে এক জোড়া সাপ চলে আসার ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। তাঁদের আশঙ্কা, সাপগুলির ফলে গ্রামের কোনও মানুষের সঙ্গে দুর্ঘটনা না ঘটে। বার বার গ্রামে ঢুকে পড়া এই নাগ-নাগিন জুটির ভয়ে তটস্থ হয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা এ বিষয়ে বন দফতরের হস্তক্ষেপ চাইছেন। তাঁদের দাবি, বন দফতর যেন ওই জোড়া সাপকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

Snake

গ্রামের বাসিন্দা ডঃ সুরেশ কুমার বলেন, “একটি সাপ আমাদের বাড়ির কাছে চলে এসেছিল। আমরা সেটিকে ধরে গ্রামের স্কুলের পিছনে ছেড়ে দিয়ে আসি। তারপরের দিন ওই সাপটির খোঁজে আরও একটি সাপ আসে। সেটিকেও স্কুলের পিছনে ছেড়ে দিয়ে আসি। এই সাপ দু’টি একটি জুটি কিনা জানিনা।” ডঃ সুরেশ কুমারের মতে, সাপ দু’টির মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক থেকে থাকতে পারে। তাই দু’জনেই দু’জনের পিছু নিয়েছে। 

SNAKE BITE

তাঁর মতে, নাগটি নাগিনটির উপর রেগে রয়েছে। যুক্তি হিসেবে বলেছেন, তাঁরা নাগটিকে উদ্ধার করার সময় সেটির গায়ে ক্ষতচিহ্ন দেখতে পান। ফলে তাঁর মতে, ওই সাপ দু’টি হয়তো নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। এই প্রসঙ্গে আরও একজন গ্রামবাসী সঞ্জীব কুমার বর্মা জানিয়েছেন, গ্রামের একটি প্রাইমারি স্কুলের পেছনে একটি বাগান আছে। সেখানে এক জোড়া সাপকে বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা গিয়েছে। 

তবে গ্রামবাসীদের যুক্তি নাকচ করে দিয়েছেন রামপুরের ডিএফও রাজীব কুমার। তিনি বলেন, “গ্রামে বলা হচ্ছে নাগিনটি নাগের রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, এমনটা হতেই পারে না। তবে এতে গ্রামবাসীদের কোনও দোষ নেই। সাধারণত এই সময়ে সাপ বেরোয় না। গ্রীষ্মকালে, বিশেষত এপ্রিলের বৃষ্টির পরেই সাপ বেশি বেরোয়।” বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রামপুরের ডিএফও।

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর