বাংলা হান্ট ডেস্ক : চাঞ্চল্যকর তথ্য। যোশিমঠের (Joshimath) মতোই যে কোনও সময় ধসে যেতে পারে রানিগঞ্জও। যে কোনও সময় মৃত্যু হতে পারে প্রায় ২০ হাজার মানুষের। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (WB CM Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘ বিগত ১০ বছর ধরে বলেও ওই এলাকার মানুষের পুনর্বাসনের জন্য একটা টাকাও মেলেনি।’
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পালটা জবাব দেয় বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ‘কেন ধ্বংসের মুখে যোশিমঠ তার কারণ এখনও কিন্তু স্পষ্ট নয়। আর রানিগঞ্জে তো অবৈধ খনন চলছে বহুদিন ধরে। অবৈধ খনন বন্ধের সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাজ্যের। সে কাজ তারা করতে পারেনি, এখন শুধু শুধু কেন্দ্রের উপর দায় চাপিয়ে কোনও লাভ নেই।’
কিছুদিন আগেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। তাঁদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই আশঙ্কার কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ‘যোশিমঠের মতোই যে কোনও সময় ধসে যেতে পারে রানিগঞ্জ। ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ৩০ হাজার মানুষ।’ তাঁর অভিযোগ, ‘কেন্দ্র কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ১০ বছর ধরে বারবার বলেও একটা টাকাও পাওয়া যায় নি।’ মমতা এই প্রসঙ্গে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থা ইসিএলের দিকেও। তিনি বলেন, ‘ইসিএল জমি নিয়ে রেখে দিয়েছে। কোনও টাকা দিচ্ছে না।’
প্রসঙ্গত, মাঝেমধ্যেই রানিগঞ্জ-আসানসোলের রাস্তায় বিরাট বিরাট ধস নামতে দেখা যায়। কয়লা খনিতেও ধস নামে। পুনর্বাসনের দাবিতে অবরোধ-বিক্ষোভ পশ্চিম বর্ধমানের খনি অঞ্চলে খুব সাধারণ একটি বিষয়। এলাকার বাসিন্দারা বারবার ধসের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এবার সেখানকার মানুষের অভিযোগই শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও।