বাংলাহান্ট ডেস্ক: আট বছর পর রাজনীতির মঞ্চ ছেড়ে নিজের পুরনো জায়গা অভিনয়ে ফিরেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa Ganguly)। এক সময়ের মহাভারতের ‘দ্রৌপদী’ এখন স্টার জলসার ‘মেয়েবেলা’ সিরিয়ালের শাশুড়ি ‘বিথী’। নতুন চরিত্রে, নতুন রূপে তাঁকে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন দর্শকরা।
তবে রূপা জানান, এই চরিত্রটির জন্য হ্যাঁ বলতে অনেক সময় নিয়েছিলেন তিনি। এর আগেও অনেক ছবি, সিরিয়ালের জন্য প্রস্তাব এসেছিল তাঁর কাছে। কিন্তু সময়ের অভাবে কোনোটার জন্যই হ্যাঁ বলেননি রূপা। তবে মেয়েবেলার বিথী হওয়ার আগে সিরিয়াল নির্মাতাদের উপরে একগুচ্ছ শর্ত চাপিয়েছিলেন তিনি।
চলতি মেগা সিরিয়ালের থেকে অনেকটাই আলাদা হতে চলেছে মেয়েবেলা। বাস্তবধর্মী গল্প দেখানো হবে সিরিয়ালে। আর সেই শর্তেই রাজি হয়েছেন রূপা। ইতিমধ্যেই কিছুদিনের শুটিং হয়ে গিয়েছে সিরিয়ালের। টিম নিয়ে বেশ খুশি অভিনেত্রী। কাজটাই মন দিয়ে করতে চান তিনি। টিআরপির চিন্তা করে ভাল কাজের সঙ্গে আপোস করার মানুষ নন রূপা।
অভিনয় জগতের অনেকেই রাজনীতিতে রয়েছেন এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ পদেই রয়েছেন। তাঁরা রাজনীতি এবং অভিনয় দুটোই সমান তালে চালাচ্ছেন। রূপারও তেমনটাই পরিকল্পনা রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দুদিন বাদেই ন্যাশনাল কমিটির বৈঠকের জন্য দিল্লি উড়ে যাবেন তিনি। রাজনীতিবিদ রূপা আর অভিনেত্রী রূপাকে তিনি গুলিয়ে ফেলতে চান না। তাঁর কথায়, রাজনীতি করতে যে টাকার প্রয়োজন হয় সেটা তিনি অভিনয়ের মাধ্যমে রোজগার করবেন।
এত বছর বাদে আবার ক্যামেরার সামনে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। অভিনয় ইন্ডাস্ট্রি বদলেছে অনেকটাই। পাশাপাশি বিজেপির তারকা সদস্যদের তরফে একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে, গেরুয়া শিবিরে থাকলে নাকি টলিউডে কাজ পাওয়া যায় না। অভিযোগকে সমর্থন করে রূপা বলেন, এমনটা অনেকের সঙ্গেই হয়েছে। এমনকি সরাসরি না হলেও তাঁর সঙ্গেও হয়েছে। কিন্তু এতে যে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে আটকে রাখা যায় না তা এতদিনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রির সবার কাছেই।