বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে বেজে গেছে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) দামামা। ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ভয়ের বাতাবরণ। গতবারের ধারা অব্যাহত রেখে এবার নির্বাচন পূর্বে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার (Coochbehar)। মঙ্গলবার দিনহাটার (Dinhata) গীতলদহে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে চলল গুলিবৃষ্টি। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন উভয় পক্ষের দু’জন।
কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, তৃণমূলের (Trinamool) গিতালদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মাফুজার রহমানের ঘনিষ্ঠ রাজু হক ও প্রাক্তন অঞ্চল প্রধান ও অঞ্চল সভাপতি আবু আল আজাদের দহরমমহরম কাছের লোক জামসেরের মধ্যে বিবাদ বাধে। এই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এদিন এদের মধ্যেই এক জমিকে ঘিরে কোন্দল গোলাগুলির পর্যায়ে চলে যায়। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এই দুই কর্মীই।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জমসের আলি ও রাজু হককে তড়িঘড়ি দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে জমসের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে। চলছে চিকিৎসা। অন্যদিকে, রাজু হক নামক ওই কর্মীর নামে পূর্বের একাধিক মামলা থাকায় তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে দিনহাটা থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে চলে গেলেও দেখা যাবে কোচবিহারের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনা। তবে সেই সংঘাতের মূলে থাকত তৎকালীন তৎকালীন তৃণমূল নেতা নিশীথ প্রামাণিক ও জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নাম। বর্তমানে দল বদল করে নিশীথ বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ আছেন তৃণমূলেই, তবে জেলা রাজনীতিতে এখন আর তাঁর দাপট নেই বললেই চলে। সেই সময় থেকে আজকের দিন! বদলেছে পরিস্থিতি, বদলেছে মুখ, তবে বদলায়নি শুধু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি।
অন্যদিকে মঙ্গলবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। আটকও করা হয়েছে আরও বেশ কয়েকজনকে। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে পূর্বের ধারা বজায় রেখে ফের একবার রক্ত ঝরল কোচবিহারে।