বাংলা হান্ট ডেস্ক : স্বেচ্ছামৃত্যু (Euthanasia) নিয়ে বড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৮ সালে এই সংক্রান্ত একটি রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই রায়কেই আবারও সংশোধন করার অনুমতি দিল সর্বোচ্চ আদালত। ২০১৮ সালে আদালত স্বেচ্ছামৃত্যু প্রসঙ্গ জানায়, এই রোগীর নিকট কেউও নিতে পারবেন। এমন একজনকে এই দ্বায়িত্ব দেওয়া উচিৎ যাঁর সেই ব্যক্তির বিষয়-সম্পত্তিতে কোনও অংশীদারি থাকবে না। সেই ব্যক্তির নিকট আত্মীয় বা রক্তের সম্পর্কের না হলেও চলবে। তবে এই ব্যক্তি যেন অত্যন্ত বিশ্বাসী একজন হন আর অবশ্যই একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হন।
সালে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানায় ‘সম্মানজনক মৃত্যু জীবনের অধিকার’। ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়টা যথোপযুক্ত। ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে মানুষের স্বাধীনতা ও জীবনের অধিকার সম্বন্ধে যে কথা বলা আছে, সেই অধিকারের মধ্যে এটাও পড়ে। একজন ব্যক্তির শুধু বাঁচার অধিকার নয়, মৃত্যুর সময় যেন তাঁর সম্পূর্ণ সম্মান বজায় থাকে।
‘ইউথেনেশিয়া’ শব্দটি একটি গ্রিক শব্দ ‘ইউ’ এবং ‘থানাতোস’ থেকে এসেছে। ‘ইউ’ শব্দটির অর্থ সহজ এবং ‘থানাতোস’ কথাটির মানে মৃত্যু। অর্থাৎ ‘ইউথেনেশিয়া’ শব্দটির মানে দাঁড়াচ্ছে ‘সহজ মৃত্যু’। নেদারল্যান্ড, কানাডা, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ডে ইউথেনশিয়াকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কেবল মৃত্যুযন্ত্রণায় কষ্ট পাওয়া মানুষই নয়, যাঁরা কোমায় রয়েছেন বছরের পর বছর ধরে, তাঁদেরও মৃত্যুর জন্য আবেদন করেন তাঁদের স্বজনরা।
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট লিভিং উইলের প্রসঙ্গ টেনে আনে। একজন ব্যক্তিকে সুস্থ মস্তিস্কে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়ার জন্য কাউকে মনোনীত করে রাখতে হয়, যিনি পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এই অনুমোদন কোনও চিকিৎসকের উপস্থিতিতে হওয়ার আদেশ দেশ আদালত। অনুমতি আগে থেকেই চেয়ে রাখতে হবে যাতে কখনও তেমন কোনও পরিস্থিতি এলে সেই ব্যক্তি আর একজন ব্যক্তিকে নির্বাচন করে যাবেন যিনি তেমন কোনও পরিস্থিতি এলে তাঁর হয়ে স্বেচ্ছা মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এই রায়েতেই সামান্য পরিবর্তন করার নির্দেশ এবার দিল আদালত।