বাংলাহান্ট ডেস্ক: কথায় আছে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। মধ্যপ্রদেশ নিবাসী সানা আলি (Sana Ali ISRO) এমনই কিছু করে দেখালেন। তাঁর বাবা পেশায় একজন বাস ড্রাইভার। অভাব ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে সানা নিজের দক্ষতায় যোগ দিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোতে। সানার গল্প বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।
বাবা পেশায় বাস চালক হওয়ায় অভাব ছিল সানার পরিবারের নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু ছোট থেকেই বিজ্ঞানী হতে চাইতেন তিনি। যোগ দিতে চাইতেন ইসরোতে। তবে অভাবের তাড়নায় এই স্বপ্ন কতটা সত্যি হবে তা জানতেন না সানা। তবে সানার বাবা-মা কখনই অভাবের কারণে মেয়ের পড়াশোনার ক্ষতি হতে দেননি। যে ভাবে হোক মেয়ের পড়ার খরচে সাহায্য করেছেন। আত্মীয়দের থেকে টাকা ধার নিয়েই হোক বা সানার মায়ের গয়না বন্ধক রেখেই হোক; সানার পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
মধ্যপ্রদেশের বিদিশা নিবাসী সানা সম্রাট অশোক টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে বিটেক এবং এমটেক ডিগ্রি করেছেন। তারপর তাঁকে ইসরোর সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারে টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। সানার এই সাফল্যে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। সানার এই লড়াই শুধু অভাবের সঙ্গেই ছিল না। একাধিক আত্মীয় তাঁর বাবা-মাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তাড়াতাড়ি সানার বিয়ে দেওয়ার জন্য।
সেই কথামতো সানা আলির বিয়ে হয় আক্রম খানের সঙ্গে। গ্বালিয়ার নিবাসী আক্রম পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। তবে বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পেরেছেন সানা। পড়াশোনায় তাঁর উৎসাহ দেখে শশুরবাড়ির লোকজনও তাঁর পড়াশোনায় কোনও বাধা দেননি। এর ফলে নিজের স্বপ্নপূরণ করতে পেরেছেন তিনি। মধ্যপ্রদেশে অনেক মেয়েই অভাবের তাড়নায় পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। সানার এই সাফল্য একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।
নিজের বাবা-মায়ের পাশাপাশি সানা তাঁর সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন শশুরবাড়ির লোকজন, আত্মীয় ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। একইসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, তাঁরা চাইলেই স্বপ্নপূরণ করতে পারে। কিন্তু তার জন্য কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। সানা আরও জানিয়েছেন, লক্ষ্য অনেক দূরে মনে হলেও প্রতিদিন পড়াশোনা করলে তা পূরণ করা সম্ভব। কঠিন পরিশ্রম করলে কোনওকিছুই অসম্ভব নয়।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…