বাংলা হান্ট ডেস্ক : পাঠান (Pathan) ছবি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল চলছে গোটা দেশ জুড়ে। ছবিটি বয়কট করার দাবি তুলেছে অনেক মহলই। এই পরিস্থিতিতে নিজের দলের নেতাদের কোনও সিনেমা ভালো ভাবে না দেখে কোনজ মন্তব্য করতে বারণ করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। যদিও, কোনও নির্দিষ্ট ছবির নাম নিয়ে ওই কথা বলেননি তিনি। ১৭ জানুয়ারি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় বিজেপির সর্বভারতীয় একজিকিউটিভ মিটিং। এখানেই দলীয় নেতাদের বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার নির্দেশ দিলেন মোদি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর মোদি এদিন বলেন, ‘দলের সব নেতারাই কাজ করেন। তবে কেউ কেউ কোনও সিনেমা নিয়ে কিছু মন্তব্য করে দিচ্ছে। যার জেরে অনেক বিভ্রাট ঘটছে।’ গত ১২ ডিসেম্বর পাঠান ছবির বেশরম রং মুক্তি পাওয়ার পর নরোত্তম মিশ্র এবং রাম কদমের মতো নেতারা চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন। যার জেরে দেশে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
সেই সময় গেরুয়া বিধায়ক রাম কদম বলেন, ‘কোনও সিনেমা হিন্দুত্বের উপর আঘাত হানলে তা বরদাস্ত করা হবে না। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি এবং সাধুসন্তরাও বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করছেন।’ সরাসরি দীপিকা পাড়ুকোনকে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘জেএনইউ-ধারীরা গেরুয়া বসনধারীদের অপমান করছেন। বিষয়টি মেনে নেওয়া হবে না।’ এমনকী তাঁর রাজ্যে পাঠান ছবিটি মুক্তি পাবে না, সেই কথাও জানিয়ে দেন বিধায়ক। পাঠান ছবিটিকে হিন্দুবিরোধী আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। সাধ্বী প্রজ্ঞা বলেছিলেন, ‘গেরুয়া রঙের অপমান মেনে নেওয়া হবে না। আমরাও যোগ্য জবাব দেব।’ পদ্ম সমর্থকদের বার্তা দিয়ে তিনি আরও দাবি করেন, ‘ওদের পেটে লাথি মারুন। সিনেমা দেখবেন না। ব্যবসা না হলে ওরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হবে।’
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র দীপিকা পাড়ুকোনের গেরুয়া মনোকিনি পরা নিয়েই বিতর্ক সৃষ্টি করেন। তিনি পাঠান ছবির গান থেকে বেশ কিছু দৃশ্য বাদ দেওয়ার দাবি করেন। যদি তাঁর কথা অনুযায়ী যশরাজ ফিল্মস ওই কাজ না করে, তাহলে মধ্যপ্রদেশে ছবিটিকে বয়কট করা হবে বলেও জানিয়ে দেন নরোত্তম। এই পরিস্থিতিতে নমো বলেন, কথায়, ‘দলের কিছু নেতা মনে করছেন, ‘মোদী এলেই জিতে যাব।’ এই মানসিকতা ঠিক নয়। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে মাত্র ৪০০ দিন রয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে গিয়ে কাজ করুন।’