বাংলা হান্ট ডেস্ক : ধীরে ধীরে বিশ্বে থাবা বসাচ্ছে অর্থনৈতিক সংকট। মন্দার চাবুকে ইতিমধ্যেই ধরাশায়ী শ্রীলঙ্কা (Shri Lanka)।ধ্বংসের কিনারে দাঁড়িয়ে ধুঁকছে পাকিস্তান (Pakistan)। এবার এই তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি নাম। নীল নদের দেশ মিশর। সেখানের সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ মানুষের প্রাথমিক চাহিদাগুলি মেটাতেও। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল, মিশরের (Egypt) বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল ফতেহ এল-সিসি সরকার গঠনের পর থেকে গোটা দেশ জুড়ে নতুন তৈরি অথবা সংস্কার হচ্ছে ৯৬০০টি মসজিদ। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা।
মুদ্রাস্ফীতিতে জেরবার ইজিপ্ট। নেই খাবার, নেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। মিশরবাসীর জন্য বরাদ্দ ৩ ব্যাগ চাল, ২ বোতল দুধ, এক বোতল তেল। অথচ এই গভীর সংকটের মুহুর্তেও দেদার খরচ হচ্ছে মসজিদ তৈরি করতে। নেই শিক্ষা, নেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক স্থিতি। অথচ হাজার হাজার মসজিদ তৈরি হচ্ছে রাষ্ট্রপতি আব্দুল ফতেহ এল-সিসির রাজত্বে।
অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান বলছে বিগত এক বছরে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। ২০২১ সালের নভেম্বরে মিশরের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬.২ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৯.২ শতাংশ। মহমৌদ আব্দো নামে কায়রোর বাসিন্দা বছর কুড়ির এক যুবক জানান, ‘আমার বাড়ির বারান্দা থেকে একই সঙ্গে ৫টি মসজিদের আজান শোনা যায়। এই অর্থনৈতিক সংকটের মুহুর্তে ধর্মীয় কারণে এত খরচ করার যৌক্তিকতা কোথায়?’
এই পরিস্থিতিতে উঠে আসছে আরও একটি প্রশ্ন। অর্থনৈতিক সংকটে সবচেয়ে বেশি জেরবার হয়েছে সেই সমস্ত দেশ যেখানে বিরাট অংকের বিনিয়োগ করেছে চিন। প্রথমে শ্রীলঙ্কা। তারপর পাকিস্তান। এবার তালিকায় মিশর। তাহলে কি এই ভয়ংকর অবস্থার জন্য চিনও পরোক্ষ ভাবে দায়ি? একাধিক আন্তর্জাতিক মহলে ভেসে বেড়াচ্ছে এই প্রশ্ন। যে কোনও দিন নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে পারে নীল নদের দেশ। এমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের।