বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) পূর্বে তৃণমূল সর্বাধিনায়িকা মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশে অভিনব ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) কর্মসূচীতে মেতে উঠেছে শাসকদল। দিদির দূত হয়ে বিভিন্ন জেলায় জেলায় পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদ থেকে শুরু করে হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী। আর সেই কর্মসূচীতে গিয়েই ঘটছে বিপত্তি। লাগাতার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। গত কয়েকদিন এমন চিত্রই উঠে এসেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। সেই ধারাই বজায় থাকল উত্তরবঙ্গেও। দিদির দূত হয়ে প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) খগেশ্বর রায় (Khageswar Roy)।
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের বারোঘরিয়া গ্রামে। এদিন “দিদির সুরক্ষা কবজ” কর্মসূচিতে দিদির দূত হয়ে প্রচারে বেরোন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নুরজাহান বেগম, তৃণমূল কংগ্রেসের ধূপগুড়ি গ্রামীণ ব্লক সভাপতি দীপু রায় সহ অন্যরা। এদিন বিধায়ক বারোঘরিয়া গ্রামে ঢুকতেই তাঁকে পেয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দেন গ্রামবাসী। বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন তাঁরা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের অনেক সুযোগ সুবিধা তাঁদের কাছে পৌঁছায় না। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর, বিদ্যুৎ সমস্যা থেকে শুরু করে লক্ষীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাননি বলেও তাঁদের অভিযোগ।
গ্রামবাসীর সমস্যার কথা শুনে ঠিক কী বললেন বিধায়ক? এদিন বিধায়ক বলেন, “আমরা সরকারি নির্দেশে এলাকাভিত্তিক ঘুরে ঘুরে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনার জন্য দিদির দূত হিসেবে এসেছি। আজ বারোঘরিয়া অঞ্চলে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আছি ৷ এখানে কিছু এলাকায় ইলেকট্রিক পৌঁছয়নি। সঙ্গে আমি বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশন ম্যানেজারকেও ফোন করে জানালাম। উনি অতিসত্বর এখানকার প্রধানের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন। আর কিছু কিছু লোক মিথ্যা কথা বলছেন। ফালতু অভিযোগ করছেন।”
শুধু তাই নয়, এরপর বিধায়কের দাবি “আমাদের সন্দেহ যাঁরা মিথ্যে অভিযোগ করছেন, তাঁরা সকলে বিজেপি করে। সব কিছু পেয়েও ফালতু অভিযোগ করছে। সঙ্গে প্রধানকে জানিয়ে দিলাম এখানে যেসমস্ত এলাকায় রাস্তাঘাট ও পানীয় জলের সমস্যা সেগুলো লিখিত আকারে জানাতে, আমি দিদির দূত হিসেবে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবো।”