বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) অনুষ্ঠানে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। যেহেতু সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election), তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) প্রার্থীরা পৌঁছে যাচ্ছেন এক একটি এলাকায় এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন সেই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সাথে। তবে এক একটি জায়গায় এক এক রকম অভিজ্ঞতা হচ্ছে, এক একজন প্রার্থীর। সেই রকমই রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক যখন পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) মূলগ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছলেন তাঁকে ঘিরে ধরলেন এলাকার একাধিক মহিলা এবং তাঁদের যাবতীয় প্রশ্নের সম্মুখীন হলেন মন্ত্রী মশাই।
তাঁদের এক একজনের এক এক রকম প্রশ্ন, কেউ জানতে চান জব কার্ড করতে কতো টাকা লাগবে? পাঁচ ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে এই কার্ড করা যায় কীনা? আর এইসব প্রশ্নের মুখে পরে তিনি চরম অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন। অভিযোগকারী মহিলাদের মধ্যে একজন প্রকাশ্যে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, এই জব কার্ড করতে গেলে মন্ত্রীসভায় কী সত্যিই অতো টাকা দিতে হয়? এরপরেই এই মহিলা অভিযোগে জর্জরিত হয়ে তিনি আলাদা ভাবে তাঁর সাথে কথা বলেন।
শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে পার্থবাবুর সাথে যোগাযোগ করার জন্য সেই মহিলাকে নিজের ফোন নম্বরও দিয়ে দেন পার্থ বাবু। সেই মহিলাকে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসেন যে যদি কেউ কখনো চাকরির নাম করে তাঁর থেকে টাকা চায়, তিনি যেন অবিলম্বে তাঁকে ফোন করে সেই বিষয়ে অবগত করেন। পাশাপাশি গ্রামের লোক তাঁকে তাঁদের নানা অবস্থা সম্বন্ধে জানান। গ্রামে পানীয় জলের অভাব রয়েছে এছাড়াও আছে ইলেকট্রিকের সমস্যা।
সংবাদ মাধ্যম থেকে তাঁকে যখন এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি জানান যে, জল হোক বা বিদ্যুৎ কোনো কিছুর সমস্যা একদিনের মধ্যে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব নয়, তার জন্য সময় দরকার। পাশাপাশি জব কার্ড নিয়ে তিনি বলেন যে, মানুষের কথা শুনতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে তাঁরা জায়গায় জায়গায় যাচ্ছেন, তাই আশা করা যেতে পারে খুব শীঘ্রই এই সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে। তবে এখনো পর্যন্ত এই রকম কোনো দুর্নীতি বা চক্রান্তের কথা শোনা যায়নি।