বাংলাহান্ট ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নিত্যনতুন নাটক শাসক এবং বিরোধী শিবিরে। দুই দলেই ভাঙন ধরার খবরে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। অতি সম্প্রতি তৃণমূলের (Trinamool Congress) অফিসে খড়গপুরের বিজেপি (Bharatiya Janata Party) বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ভাইরাল হয়েছিল। যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, ছবিটি অনেক পুরনো। বিতর্ক কমতে না কমতেই পদ্ম শিবিরের মহাতারকা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) দাবি করলেন, তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক, সাংসদ বিজেপিতে আসার জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছেন।
বিজেপির কার্যকরী কমিটির সদস্য মিঠুন পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের তুরুপের তাসও বটে। শহর থেকে জেলায় মহাগুরুর জনপ্রিয়তাকে সম্পূর্ণ ভাবে কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্রীয় শাসক দল। আর রাজ্যে প্রচারে এসে একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন মিঠুন। এবার তিনি দাবি করলেন, ২১ জনেরও বেশি তৃণমূল বিধায়ক সাংসদ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
এর আগেও এমন দাবি শোনা গিয়েছে মিঠুনের মুখে। তখন অবশ্য তিনি বলেছিলেন, রাজ্যের শাসক দলের ২১ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। এবারে অভিনেতা রাজনীতিকের বক্তব্য, সংখ্যাটা ২১ থেকে আরো বেড়েছে। যোগ হয়েছে সাংসদরাও। দিল্লি থেকে সবুজ সংকেত আসার অপেক্ষা রয়েছে শুধু। তারপরেই বেসুরোদের বিজেপিতে যোগদান করানো হবে।
এর আগে মিঠুন বলেছিলেন, “তৃণমূলের সবাই চোর নন। কিন্তু অনেকেরই দম বন্ধ হয়ে আছে।” তিনি যাদের নাম নিয়েছেন তারা সবাই ভাল। পচা আলু তাঁরা নেবেন না। এবারেও একই রকম কথা শোনা গেল মিঠুনের মুখে। তাঁর কথায়, তৃণমূলে কারা কারা দুর্নীতিগ্রস্ত নয় সেটা একটু চোখ কান খোলা রাখলেই বোঝা যায়। সঙ্গে তিনি আরো বলেছেন, বিজেপি সম্পর্কে ভুল বোঝানো হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। একমাত্র বিজেপিই তাদের উন্নয়ন ঘটাতে পারে, দাবি মহাগুরুর।
তবে মিঠুনের এই দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বিজেপি নেতৃত্ব। মহাগুরুর মন্তব্যের সপক্ষে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি এখনো পর্যন্ত।