বাংলাহান্ট ডেস্ক : সংসারে ছিল নিত্যদিনের অভাব (Poverty)। রোজকার জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত হতে হতে একসময় ঘর ছেড়ে ছেড়ে স্ত্রী (Wife)। সাথী হারা হওয়ার শোক প্রথম দিকে কিছুতেই কাটতে উঠতে পারেনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্র মোহনটোলার বাসিন্দা সঞ্জিত মণ্ডল। পরে অবশ্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় বহু কিছুই। বদলে যায় এই বছর ছত্রিশের যুবকের রোজনামচা। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে তিনি হয়ে ওঠেন কোটি টাকার মালিক!
নিশ্চয়ই ভাবছেন, এ আবার কেমন করে সম্ভব ? এই অসম্ভবের পিছনে অবশ্য লুকিয়ে রয়েছে মাত্র একটা লটারি (Lottery)। বৈষ্ণবনগরের (Vaishnavnagar) লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনা রীতিমতো অবাক করে দেওয়ার মতই। জানা যায় যে, দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক অশান্তির কারণে ঘর ছাড়া সিদ্ধান্ত নিন সঞ্জিতের স্ত্রী। সাত বছরের বৈবাহিক জীবন (Married life) কাটানোর পর বউ পালিয়ে যেতেই মানসিকভাবে মুষড়ে পড়েছিলেন ওই যুবক।
তারপর, গঙ্গা যমুনা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জল। প্রায় ছয় বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে আইনি মতে সঞ্জিতের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তারপর থেকেই ছোট হোটেল চালিয়ে কোনওমতে সংসার টানতেন তিনি। হঠাৎই রবিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর বাজারে অজিত মণ্ডলের কাছে ৩০ টাকা দিয়ে একটি টিকিট কাটেন তিনি। বিকেলে ফলাফল বের হলে জানা যায়, ‘কেল্লাফতে!’
কোটি টাকা জেতার খবর আসতেই যারপরনাই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন সঞ্জিত। তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে টিকিট কাটি। রবিবার দুপুরে ৩০ টাকা দিয়ে একটি টিকিট কিনি। বিকেলে দেখি, আমি প্রথম পুরস্কার জিতেছি। এরপর পুলিশকে ফোন করি। লক্ষ্মীপুর থেকে পুলিশ গিয়ে আমাকে নিয়ে আসে। এই টাকা দিয়ে বাড়ি বানাব। বিয়ে করারও ইচ্ছে রয়েছে।’