বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) জিতেছিলেন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে। আর নিজেও খেলেন ফ্রান্সেরই বর্তমানের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্লাবে। শোনা যাচ্ছে লিওনেল মেসি (Lionel Messi) নাকি মনে করছেন যে একজন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার হিসেবে ক্লাবে ফেরার পর যে সম্মান তার প্রাপ্য ছিল তা তিনি পাননি। তাই চলতি বছরের জুলাইয়ে যখন তার পিএসজির (PSG) সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাবে তখন হয়তো আর প্যারিসের ক্লাবটিতে থাকবেন না আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
২০২১ সালের আগস্টে যখন বার্সেলোনা আর্থিক সমস্যার কারণে লিওনেল মেসিকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হন, তখন পিএসজি সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে নিজেদের ক্লাবে নিয়ে আসেন। কিন্তু বার্সেলোনায় যেখানে মেসির সম্মান ছিল একজন রাজপুত্রের মত, তার ধারে কাছেও পিএসজি ভক্তরা তাকে সম্মান জানায়নি বলে মেসি নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে উল্লেখ করেছেন। তাই প্রাথমিকভাবে পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবীকরণের সম্ভাবনার ভালো জল্পনা থাকলেও মেসি নাকি তেমনটা এখন আর করবেন না বলেই শোনা যাচ্ছে।
কিন্তু আর্জেন্টাইন মহাতারকা যদি প্যারিস ছাড়েন তাহলে তার পরবর্তী গন্তব্য কি হবে? অনেকেরই মনে চলে আসছে তার পুরনো ক্লাব বার্সেলোনার কথা। বার্সেলোনা ক্লাব এবং তাদের ভক্তরা মেসির কাছে কতটা আপন ছিল একথা সকলেই জানেন। তাই যদি মেসি পিএসজি ছাড়েন তাহলে নিজের পুরনো ক্লাবেই ফিরবেন, এমন সম্ভাবনা থাকাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক।
কিন্তু তেমনটা হবে না বলে দাবি করছেন আর্জেন্টাইন সাংবাদিক গ্যাস্টন এডুল। আর্জেন্টাইন সাংবাদিক দাবি করেছেন যে মেসি যে বার্সেলোনা এবং বার্সেলোনার ভক্তদের অত্যন্ত পছন্দ করেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, কিন্তু জুয়ান লাপোর্তার নেতৃত্বে গঠিত বর্তমান ক্লাবের বোর্ডের সঙ্গে তার একেবারেই বনিবনা নেই। পূর্বে যখন ২০০৩ থেকে ২০১০ অবধি, লাপোর্তা বার্সার সভাপতি ছিলেন তখন মেসির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ভালো। মেসি ব্যক্তিগত ও দল হিসাবেও তখন অসাধারণ সাফল্য উপভোগ করেছিলেন।
কিন্তু পরবর্তীতে মেসি মনে করেছিলেন যে ২০২১ সালে তার চুক্তি নবীকরণের ব্যাপারে ক্লাব যতটা করতে পারত ততটা করতে চাননি লাপোর্তা। মেসি প্যারিসের প্রথম মরশুমের ব্যর্থতার চিত্র কাটিয়ে দ্বিতীয় মরশুমে ভালো ছন্দে রয়েছেন। ৩৬ বছর বয়সী মেসিকে ইউরোপের যে কোনও বড় ক্লাব নিজেদের সাথে যুক্ত করে নেবে। তাই বিশ্বকাপ জয়ী তারকার বার্সেলোনায় ফেরা সম্পর্কে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার কারণ দেখা যাচ্ছে না।