বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতি বছরের মত চলতি বছরেও প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) প্রাক্কালে সরকারের তরফে বীরত্বের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এই বছর মোট ৪১২ জন সাহসীকে সম্মানিত করা হয়। যাঁদের মধ্যে ৬ জন পেয়েছেন কীর্তি চক্র এবং ১৫ জনকে শৌর্য চক্র দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায়, শৌর্য চক্র পেয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্যারা স্পেশাল ফোর্সের ক্যাপ্টেন রাকেশ টিআর-ও!
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত বছর জম্মুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জনসভায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিদাইন হামলা প্রতিহত করেছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই অকুতোভয় ক্যাপ্টেন। মূলত, গত বছরের ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য জম্মু যাওয়ার কথা ছিল। স্বাভাবিকভাবেই ওই সফরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। যদিও, তার মধ্যেও সমাবেশে সম্ভাব্য ফিদায়িন হামলার খবর পাওয়া যায়।
প্যারাসুট রেজিমেন্টের (স্পেশাল ফোর্স) নবম ব্যাটালিয়নের ট্রুপ কমান্ডার ক্যাপ্টেন রাকেশ টিআর ওই অঞ্চলে যেকোনো রকমের সন্ত্রাসবাদী সম্পর্কিত ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত থাকার জন্য দায়বদ্ধ ছিলেন। এমতাবস্থায়, জম্মু জেলায় সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদীর উপস্থিতির খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
পাশাপাশি, ক্যাপ্টেন রাকেশ নিরাপত্তা বাহিনীর একটি কনভয়ে সন্ত্রাসবাদীদের হামলার খবর পেয়ে নিজের প্রাণহানির সম্ভাবনা থাকলেও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত যোগাযোগস্থলে পৌঁছনোর পর তিনি দ্রুত কোয়াডকপ্টার ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদীদের দেখতে পান এবং কৌশলগতভাবে তাদের চারপাশে একটি নিবিড় ঘেরাও স্থাপন করেন।
এদিকে, আটকে পড়া অবস্থাতেই সন্ত্রাসবাদীরা নির্বিচারে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে এবং ঘেরাও ভেঙে স্থানীয় এলাকার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এমতাবস্থায়, ক্যাপ্টেন রাকেশ সাধারণ মানুষের জীবনহানি ঘটতে পারে ভেবে একজন সন্ত্রাসবাদীর উদ্দেশ্যে গুলি ছুঁড়ে নিজের নিরাপত্তার প্রতি সম্পূর্ণ অবহেলা করে বাকি সন্ত্রাসবাদীদের দিকে আক্রমণ করতে শুরু করেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আসেন। এমতাবস্থায়, একজন সন্ত্রাসবাদীকে নির্মূল করার পাশাপাশি ফিদায়িন হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে তাঁর তীক্ষ্ণ কৌশলগত দক্ষতা এবং অতুলনীয় সাহসের জন্য তাঁকে শৌর্য চক্র প্রদান করা হয়।