দলবদলের জল্পনার মাঝেই হিরণ-শুভেন্দু সাক্ষাৎ! কি কথা হল দুজনার?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে বিগত কিছুদিন ধরে পড়েছে দল বদলের হিড়িক। কেউ তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন পদ্মে, কেউ গেরুয়া ছেড়ে হাত মেলাচ্ছে শাসক দলের সাথে। এই আবহেই সম্প্রতি দল ছাড়ার জল্পনা বিতর্কে লাগাতার শিরোনামে উঠে আসছে তারকা বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (Hiran Chatterjee) নাম। তৃণমূলে (Trinamool) যোগ দিতে চলেছেন হিরণ, এমন জল্পনায় যখন উত্তপ্ত রাজনীতির অন্দর, ঠিক সেই সময়ে বিতর্কের আগুনে কিছুটা হলেও জল ঢাললেন খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক। শুক্রবার রাতে নিজাম প্যালেসে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে দেখা করলেন হিরণ।

বঙ্গ রাজনীতিতে বর্তমানে হিরণকে নিয়ে বিস্তর আলোচনা। ভোট পূর্বে কানাঘুষো ছড়িয়েছে বিজেপি নেতা হিরণের তৃণমূলে যোগদানের খবর। সম্প্রতি বিধায়ক হিরণের সঙ্গে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কো-অর্ডিনেটর তথা বিধায়ক অজিত মাইতির একটি ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই জোরদার হয়েছে হিরণের দলবদলের জল্পনা। তৃণমূল বাহিনীর দাবি, ছবিটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তোলা। শোনা যাচ্ছিল, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি কেশপুরে হতে চলা অভিষেকের সভায় তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন হিরণ। অন্যদিকে শাসকদলের এহেন দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। সেই নিয়েই চলছে জোর তরজা। তবে এরই মধ্যে হিরণ-শুভেন্দু সাক্ষাৎ যেন অনেক কিছুই পরিষ্কার করে দিল।

   

সূত্রের খবর, গতকাল রাতে নিজাম প্যালেসে গিয়ে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে দেখা করেন হিরণ।
প্রায় আধ ঘণ্টা কথা হয় দু’জনের। তারপর খুশি মেজাজে ছবিও তোলেন তাঁরা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে হিরণের কাঁধে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শুভেন্দু। পেছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। কিছুদিন তৃণমূলে যোগদানেরর খবর প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্যই করেননি হিরণ। জল্পনা বাড়িয়েছিল তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট। তবে এদিন ছবিতেই যেন সবটা বুঝিয়ে দিলেন হিরণ। কিন্তু দুজনার মধ্যে কী কথা হয়েছে সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি।

suvendu hiran

এদিন সাক্ষাতের পর বিজেপি বিধায়কের পিঠ চাপড়ে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘হিরণ বাইরে গিয়েছিল। এসে আমার সঙ্গে মিট করেছে। ভাল থাকুক। সোমবার আবার দেখা হবে।’’ যদিও হিরণ তরফে শুক্রবারের এই একান্ত বৈঠক প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর