মহিলা অনূর্ধ্ব ১৯ T20 বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক হুগলির কন্যা! ঝুলনের ব্যাটন বহন করবেন তিতাস?  

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ঝুলন গোস্বামী (Jhulan Goswami) অবসর নিয়েছেন ভারতীয় দল (Team India) থেকে গত বছরেই। তারপর বাংলা থেকে কি আর কোন ক্রিকেটার ভবিষ্যতে ভারতের বোলিংয়ে নিজের উজ্জ্বল উপস্থিতি তুলে ধরতে পারবেন? চাকদা এক্সপ্রেস অবসর নেওয়ার পর থেকেই এই প্রশ্ন বাঙালি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে ঘুরপাক খেতে থাকে। এবার সেই প্রশ্নের একটা সম্ভাব্য উত্তর পাওয়া গিয়েছে।

গতকাল অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারতীয় দল। শেফালী ভার্মার নেতৃত্বাধীন দল ফাইনালে ইংল্যান্ড থেকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছিল। কালকে ভারতীয় দলের একাধিক তারকা পারফরমারদের মধ্যে থেকে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন বাংলার পেসার তিতাস সাঁধু (Titas Sadhu)।

titas sadhu

কাল তার বল খেলতে গিয়ে বিশাল সমস্যায় পড়েছিল ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব ১৯ দলের ব্যাটাররা। তার ছন্দ দেখে শুরুতেই তাকে দিয়ে চার ওভার বল করিয়ে নেন অধিনায়ক শেফালী। তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৪-০-৬-২। অনেকেই এবার আশা করছেন যে ঝুলনের পর তিতাসই ভারতীয় মহিলা দলের ফাস্ট বোলিংয়ে বাঙালি ঐতিহ্য বহন করবেন।

তার পরিবারের সঙ্গে ক্রীড়ার যোগ বেশ পুরনো। কিন্তু সবকিছু প্রাথমিক পরিকল্পনা মাফিক চললে তিতাসের ক্রিকেট খেলারই কথা নয়। তার বাবা রণদীপ ছিলেন রাজ্য স্তরের অ্যাথলিট। নিজের প্রাথমিক জীবনে একজন স্প্রিন্টার ছিলেন তিতাস। এরপর কখনো সাঁতার কেটেছেন কখনো বা টেবিল টেনিসে মজে থেকেছেন। ক্রিকেটের সঙ্গে তার পরিচয় অনেক পরে।

হুগলি নিবাসী তিতাস একবার মহসিন কলেজের কাছে রাজেন্দ্র সংঘে বোলিং করার জন্য আমন্ত্রণ পান। সেবার ক্লাবের দলে নেট বোলার কম পড়েছিল। সেখানেই তিতাস সংস্পর্শে আসেন বাংলার প্রাক্তন পেস বোলার শিবশঙ্কর পালের। তার প্রথম কোচ প্রিয়াঙ্কার মুখোপাধ্যায় তাকে শিবশঙ্করের সঙ্গে পরিচিত করান। বাকিটা কি হয়েছে তা সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও সমান প্রতিভাবান তিতাস। মাধ্যমিকে তিনি ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। এবার তাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে বঙ্গের ক্রিকেটপ্রেমীরা।

 

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর