বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে শিয়রে নির্বাচন। পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Vote) পাখির চোখ করে বাংলা জয়ের লক্ষ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। চলছে, সভা, মিটিং। এই আবহেই এদিন জেলা সফরে বেড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দুপুর নাগাদ তিনটি জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মালদহের (Malda) গাজোলে। সেখান থেকেই বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায়। পাশাপাশি একাধিক ইস্যু তুলে কেন্দ্র ও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একজন খালি বলছেন রাস্তার টাকা দেব না। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেব না। উনি দেওয়ার কে? এই সব টাকা তো জনগনের টাকা। টাকা রাজ্য থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার রাজ্যের টাকা কেন্দ্র তোলে। ওরা রাজনীতি বেশি করছে। অর্থনীতি করছে না।” কেন্দ্রীয় পরিদর্শন দলকে ‘অশ্বডিম্ব’ বলেও কটাক্ষের সুর চড়ালেন তিঁনি। বলেন “কেন্দ্র টিম পাঠিয়ে অশ্বডিম্ব। উত্তরপ্রদেশ মধ্যপ্রদেশে কটা টিম যায়। একলাখি বালুরঘাট আমার করা। ১২০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট আজ। যেগুলো তৈরি হয় সেগুলোর শিলান্যাস করে দিই। আমাদের সরকার আসার পর আমরা এই জেলায় ঢেলে কাজ করি।”
এখানেই থেমে থাকেননি মমতা বন্দোপাধ্যায়। এরপর তিঁনি বলেন, “পাড়ায় সমাধান। মহিলা থানা, নতুন থানা অনেককিছু হয়েছে। এয়ারপোর্ট বানাচ্ছি। মালদহ, বালুরঘাট, কোচবিহার এয়ারপোর্ট করবো। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় ট্যুরিজম হচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে রাস্তা ব্রিজ অনেককিছু তৈরি করা হয়েছে। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য সাহায্য করা হয়েছে। এখানে ৩০% মাইনরিটি আছে। তারাও পড়াশোনা করতে চায়। আমরা পড়াশোনা বন্ধ করতে দেবো না।”
মমতার সংযোজন, “মতুয়াদের জন্য আমি করেছি। বিজেপি ভোট এলে ক্যা ক্যা করে। মিডিয়াকে অপব্যবহার করা হচ্ছে । আমরা চোর তোমরা ডাকাত। আমরা খুশি দলের কয়েকটা ডাকাত চলে গেছে । যিনি বলছে টাকা দেবেন না। মনে হচ্ছে পকেট থেকে দিচ্ছে । শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কিছু বলিনি। আদালতের বিষয়। কেউ অন্যায় করলে শাস্তি পাবে, তার দায়িত্ব নেব না।” পাশাপাশি তিঁনি বলেন, “৩৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় নতুন করে হয়েছে। আমার সব চাইতে বড় চ্যালেঞ্জ নদী ভাঙন রুখতে হবে । যাঁদের নদীর ধারে বাড়ি, একটা সার্ভে করে দেখা হোক নদী থেকে দূরে পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য।”