বিজেপি সাংসদের প্যান্ট খুলে নেওয়া ও কর্মীদের হাসপাতালে পাঠানোর হুঁশিয়ারি! বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) যত এগিয়ে আসছে ততই মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে অসৌজন্যতার রাজনীতি। লাগাতার হুমকি হুঁশিয়ারিতে জড়াচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা। এই আবহেই এদিন প্রকাশ্য সভা থেকে এক তৃণমূলের (TMC Leader) এক নেতার গলায় শোনা গেল, তাঁদের কর্মীদের গায়ে আঁচর লাগলে বিজেপি (BJP) কর্মীদের হাসপাতালে পাঠানোর হুঁশিয়ারি। অন্যদিকে তৃণমূলের ব্লকে সভাপতির মুখে শোনা গেল বিজেপি সাংসদের প্যান্ট খুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি।

সোমবার বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দপুরের (Indpur) আড়ালডিহি গ্রামে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে এই রকমই কুরুচিকর মন্তব্যে সরব হন তৃণমূলের বিধায়ক থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্লক সভাপতি। এদিন ইন্দপুরের কর্মসূচি থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে বেনজির আক্রমণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। সুকান্ত মজুমদারকে সরাসরি নিশানা করে তৃণমূল নেতা বলেন “সুকান্ত মজুমদার বলে বেরাচ্ছেন তৃণমূলের লোকেরা দুয়ারে গেলে, তাঁদের বেঁধে রাখতে। সুকান্ত মজুমদার মানুষকে উস্কানি দিচ্ছেন ও বাংলায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন।”

   

এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূল বিধায়ক। এরপর সুকান্তর উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিঁনি বলেন, “আপনি জেনে রাখুন তৃণমূল কর্মীরা যেদিন হাত তুলবে সেদিন আপনাদের হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার জায়গা হবে না।” এরপর ওই একই সভামঞ্চ থেকেই তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লকের সভাপতি রেজাউল খাঁ বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সুভাষ সরকার বিভিন্ন সভায় গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বেঁধে রাখার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। আমরা বলছি আপনি যদি কোথাও যান সেখানের জনগণ আপনার প্যান্ট খুলে নেবেন।”

কুরুচিকর এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাবি, বিজেপির দাবি তৃণমূলের নেতারা কুরুচিকর মন্তব্য করে করে এখন দলে নিজেদের জায়গা করতে চাইছেন। এবিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, “জনপ্রতিনিধি সম্পর্কে আরেক জনপ্রতিনিধি যে ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য করছেন, তা সাংবিধানিক। বিধায়ক এভাবে বিষয়টি সমর্থন জানাচ্ছেন। এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। আসলে সংবাদ শিরোনামে আসতেই এই ধরনের মন্তব্য।”

bjp tmc

অন্যদিকে এদিন সভা শেষের পরও নিজের মন্তব্যেই অনড় থাকেন তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। নিজের করা মন্তব্যকে সমর্থন করেই তিঁনি বলেন “সুকান্তকে সংযত হওয়ার জন্য সতর্ক করা হল। আপনি নিজে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেরিয়ে কর্মীদের লেলিয়ে দিচ্ছেন। বাংলায় অশান্তি হলে আপনাদের দেখা পাওয়া যাবে না। রাজ্য সরকারকেই তা সামলাতে হবে।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর