বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Vote) সামনে রেখে জেলা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা কর্মসূচীর জন্য পা রেখেছেন ‘কেষ্টহীন’ বীরভূমেও। সোমবার সকাল থেকে সে নিয়ে যথেষ্টই উত্তেজিত দেখাচ্ছিল জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। আসানসোল জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন তাঁর চোখ আটকে ছিল টিভির পর্দায়। তবে কিছুক্ষন বাদেই তাঁর উচ্ছাস, উদ্দীপনা গিয়ে তলানিতে ঠেকে। বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটিতে তাঁর বিরোধী বলে পরিচিত নেতার-নেত্রীর জায়গা হয়েছে, আর তাও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় সে খবর দেখার পরে টিভি বন্ধ করে দেন কেষ্ট।
প্রসঙ্গত, কেষ্টহীন বীরভূমে গিয়ে নতুন কোর কমিটির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুধু বৈঠকই নয়, বাড়ানো হয়েছে কোর কমিটির সদস্য সংখ্যাও। আগে এই সংখ্যাটা ছিল চার। কেষ্টর অনুপস্থিতিতে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাতে। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যভাবে, কোর কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে অনুব্রত-‘বিরোধী’ তৃণমূল নেতার। জায়গা করে নিয়েছেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ (Kajal Sekh) এবং বীরভূমের (Birbhum) সাংসদ শতাব্দী রায় (MP Satabdi Roy)।
জেল সূত্রের খবর, কেষ্টর অনুপস্থিতিতে নেত্রীর জেলা সফরে কী কী ঘটছে, সে নিয়ে সে দিন সকাল থেকেই বেশ আগ্রহী ছিলেন অনুব্রত। প্রাতরাশের পরে কর্মসূচিতে না থাকতে পারায় খানিক আক্ষেপ নিয়ে জেলের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে টিভির সামনে বসে পড়েন তিঁনি। তবে নতুন কোর কমিটির খবর দেখেই টিভি বন্ধ করে দেন ‘বীরভূমের বাঘ’।
এপরদিন সকালে একটু দেরিতেই ঘুম থেকে ওঠেন অনুব্রত। নিয়মমত সকালে উঠে স্নান সেরে জেলের হনুমান মন্দিরে পুজোও দেন তিঁনি। কিন্তু এদিন প্রচন্ডই চুপচাপ ছিলেন কেষ্ট। অন্য দিন স্নান সেরে রোদে বসে কিছুটা সময় কাটালেও, এ দিন সেলের বাইরে পা রাখেননি তিঁনি। সূত্রের খবর, এদিন টিভিও দেখেননি অনুব্রত। মঙ্গলবার সারা দিনই কারর সাথেই অনুব্রত বিশেষ কথাও বলেননি বলে দাবি কারাকর্মীদের একাংশের।
স্বাভাবিকভাবেই, জেলা কোর কমিটিতে কাজল ও শতাব্দীর অন্তর্ভুক্তিতে খুব একটা খুশি নয় অনুব্রত, সেটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। তবে জেল সূত্রে খবর, গোটা এই বিষয়টি নিয়ে অন্য বন্দি বা কারাকর্মীদের কাছে নীরবই থেকেছেন কেষ্ট।