বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের সামরিক বাজেট (Indian Defense Budget) ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সামরিক খাতে ৫.৯৩ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ১২.৯৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে সামরিক বাজেট। একইসঙ্গে অস্ত্র কেনার জন্য বরাদ্দ ১০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ১.৬২ লক্ষ কোটি টাকা করা হয়েছে। ডলারের হিসেবে ভারতের সামরিক বাজেট ৫২.৮ বিলিয়ন ডলার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের এখন কাঙাল অবস্থা। তাদেরকে সামরিক বাজেট অনেকটাই কমিয়ে আনতে হয়েছে। গত বছর তাদের সামরিক বাজেট ছিল ৭.৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থনৈতিক সঙ্কটের ফলে এ বছর তাদের সামরিক বাজেটে আরও কাটছাট করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত এই মুহূর্তে পাকিস্তানের চেয়ে সাত গুণ বেশি অর্থ সামরিক খাতে বরাদ্দ করেছে।
উল্লেখ্য, ভারতের সামরিক বরাদ্দ দেশের জিডিপি-র ২ শতাংশ। অন্যদিকে, পাকিস্তান তাদের জিডিপি-র ৩ শতাংশ সামরিক খাতে খরচ করে। ভারতের নিজেদের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে তারা। কিন্তু এই মুহূর্তে নিজেদের দেশেই সবচেয়ে বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তারা। আমেরিকার থেকে আমদানি করা অস্ত্র দিয়ে তেহরিক-ই-তালিবানের জঙ্গিরা একের পর এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে প্রতিবেশী দেশে।
সামরিক বাজেটের দিক থেকে ভারত যদিও চিনের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের সামরিক বাজেট ২৯৩ বিলিয়ন ডলার। সুরক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি খরচ করা দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। যদিও ভারতের সামরিক বাজেটের একটি বড় অংশই চলে যায় সেনার বেতন ও পেনশনে। মনে করা হচ্ছিল, সামরিক খাতে হয়তো আরও কিছুটা বরাদ্দ বাড়ানো হবে কিন্তু তেমনটা হয়নি।
যদিও এরপরেও ভারত ১.৬২ লক্ষ কোটি টাকার অস্ত্র কিনতে পারবে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের অর্থসঙ্কটের জেরে জেরবার সেখানকার সেনাও। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর খরচে ব্যাপক কাটছাট করা হয়েছে। তার উপর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তরফেও সামরিক খাতে খরচ আরও কমানোর কথা বলা হচ্ছে। এর জন্য পাক সেনা আরও বিপদে পড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।