বিয়ের পরেও একাধিক সম্পর্ক, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুললেন অঞ্জন দত্ত

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একাধারে তিনি অভিনেতা। তিনি আবার সংগীতশিল্পী। আবার ছবির পরিচালনাও করেন। তিনি অঞ্জন দত্ত (Anjan Dutta) । টলিউড জগতে বহু পরিচিত এক ব্যক্তি। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কখনও রাকঢাক রাখেননি এই অভিনেতা। এই অভিনেতা তথা সংগীতশিল্পী, পরিচালকের ভক্তের সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট অ্যাক্টিভ তিনি।

৭০ বছর বয়সে এসেও একটুও কমেনি অভিনেতার গ্ল্যামার। কমেনি কাজ করার ইচ্ছা। তাঁর অভিনয় এবং গানে মুগ্ধ সকলেই। সম্প্রতি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুললেন এই অভিনেতা। আরজে জিনিয়া এবং অভিনেতা সুপ্রভাত দাসের সঙ্গে দিলেন জমিয়ে আড্ডা। দিলেন নানান প্রশ্নের জবাব।

anjan dutt

রহস্যময় ছবি পরিচালনা করতেই নাকি বেশি ভালবাসেন এই পরিচালক। তবে তাঁর অভিনয় জগতটা কিন্তু আবার আলাদা। অভিনেতা হিসেবে তিনি পছন্দ করেন রোমান্টিক ছবি। এই অভিনেতা জানান, কঙ্কনা সেন শর্মার সঙ্গে ছবি করার ইচ্ছে ছিল তাঁর। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। সেই আক্ষেপ আজও রয়েছে অভিনেতার মনে।

দার্জিলিং ভীষণ পছন্দ অভিনেতার। পছন্দ কেরালাও। এই পরিচালকের ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন অভিনেতা সুপ্রভাত দাস। এ প্রসঙ্গে পরিচালক জানান, সুপ্রভাত দাসকে ছাড়া তিনি ডিটেকটিভ চরিত্রের জন্য আর কাউকে খুঁজেই পাননি। যদিও পরিচালককে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং ঋত্বিক চক্রবর্তী কথা মনে করিয়ে দেন সুপ্রভাত দাস। অঞ্জন দত্তের উত্তর, ঋত্বিক যদি সুপ্রভাত দাসের সমবয়সী হতো তাহলে এই ডিটেকটিভ চরিত্রের জন্য তাকেই ছবিতে নিতেন পরিচালক।

এপরেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, অল্প বয়স থেকেই প্রচুর মেয়ের সঙ্গে প্রেম করেছেন তিনি। এমনকি বিয়ের পরেও একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন। পরিচালকের কথায়,’বিয়ের পর আর অন্য নারীর সাথে প্রেম হয় না একথা আমি স্বীকার করি না। আমি এবং আমার স্ত্রী বন্ধুর মতোই মেলামেশা করতাম। ওকে ছাড়াও যদি আমার অন্য কোন নারীকে ভালো লাগতো, কথা বলতে ইচ্ছা করতো তাহলে আমি সেটাও করতাম। বিয়ে হয়ে যাওয়া মানে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়’।

পরিচালককে প্রশ্ন করা হয় কোন কথায় সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হন তিনি। উত্তরে তিনি জানান,’আজও আমার ভক্তদের মধ্যে বেশ কিছু ধারনা আমাকে নিয়ে রয়ে গেছে। যেগুলো একটা সময় ভালো লাগলেও এখন আর ভালো লাগেনা। সবাই মনে করে অঞ্জন দত্ত মানেই সিগারেট। অঞ্জন দত্ত মানেই চোখে চশমা। অঞ্জন দত্ত মানেই দার্জিলিং। এগুলো শুনতে শুনতে আমি বিরক্ত হয়ে গেছি’।

additiya

সম্পর্কিত খবর