দেউলিয়া বন্ধু পাকিস্তান, তবু সাহায্য করছে না চিন! শরীফকে নিয়ে ছেলেখেলা জিনপিংয়ের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: অর্থসঙ্কট দিন দিন গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে পাকিস্তানের (Pakistan)। একে একে ফুরিয়ে যাচ্ছে জ্বালানি, খাবার এবং অর্থ। সাধারণ মানুষের দুর্দশার চিত্র প্রতিনিয়ত সামনে আসছে। শাহবাজ শরিফের (Shahbaz Sharif) সরকারও মরিয়া হয়ে অর্থ সাহায্য চাইছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল তাদের অর্থ সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি শর্তের বিনিময়ে। সেই শর্ত পূরণ করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।

তবে এ সবের মধ্যে তামাম বিশ্বকে যেটা সবচেয়ে অবাক করেছে, তা হল পাকিস্তানের প্রতি চিনের (China) মনোভাব। আন্তর্জাতিক স্তরে মোটামুটি সকলেই জানেন, পাকিস্তানের বিশেষ বন্ধু দেশ হল চিন। পাকিস্তানের বিভিন্ন সমস্যায় তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে শি জিনপিং (Xi Jinping) সরকার। পাকিস্তানকে অর্থ ঋণও দিয়েছে তারা। কিন্তু আজ বন্ধু রাষ্ট্রের বিপদের দিনে ধারে কাছেও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না চিনকে। 

Pakistan Crisis

এমনকী, পাকিস্তানের অর্থসঙ্কট নিয়ে কোনও মন্তব্য অবধি করেননি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এতদিন অবধি পাকিস্তানের উপর সিপিইসি-র (CPEC) নামে ব্যাপক ঋণ দিয়েছে চিন। এতে আপত্তি জানিয়ছিল ভারত। এরপর শ্রীলঙ্কাকেও (Sri Lanka) একই ভাবে ঋণ দিয়েছিল তারা। কিন্তু সত্যিকারের বিপদের দিনে পাকিস্তানের এই বন্ধুটিকে তার পাশে দেখা যাচ্ছে না।

আমেরিকার উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর মাইকেল কুগেলমান একজন পাকিস্তান বিশেষজ্ঞ। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কাকে ঋণ শোধ করতে ২ বছর বেশি সময় দিয়েছে চিন। কিন্তু তাদের বন্ধু রাষ্ট্র পাকিস্তানকে এক পয়সাও ঋণ দেয়নি তারা। এই মুহূর্তে দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেশটি। তাও তাদের কোনও অর্থ সাহায্য করেনি চিন। এই অবস্থায় পাকিস্তানকে চিনের থেকে অর্থসাহায্য চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আমেরিকাও (USA)।

Xi Jinping

পাকিস্তানের প্রতি চিনের এমন অবস্থান কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কুগেলমান। কয়েকটি অনুমানও করেছেন তিনি। প্রথমত, শ্রীলঙ্কার মোট ঋণের ৫২ শতাংশেই রয়েছে চিন। একইসঙ্গে পাকিস্তানকে মাত্র ৩০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে তারা। আরও একটি কারণ হতে পারে, চিন ভারতকে (India) আক্রমণ করতে চায়। শ্রীলঙ্কার ঋণের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে সম্প্রতি আর্থিক আশ্বাস দিয়েছিল ভারত।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাকিস্তান দাবি করেছিল, চিন তাদের ৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। তবে এখনও অবধি সেই ঋণ তারা পেয়েছে কি না, তা জানান যায়নি। এক বিশেষজ্ঞের মতে, পাকিস্তান ও চিনের সম্পর্ক বিগত কয়েক মাসে শীতল হয়েছে। কারণ হিসেবে চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পের ধীর গতি এবং জঙ্গি হামলার আশঙ্কাকে দায়ী করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার প্রায় শেষের মুখে। আর মাত্র কয়েকদিন জিনিস আমদানি করার মতো অর্থ মজুত রয়েছে তাদের কাছে।

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর