বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার (Tripura) দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। হাতে গোনা কিছুদিনের সময় মাত্র। জোর কদমে চলছে ভোট প্রচার। এদিন ভোটমুখী ত্রিপুরায় মেগা প্রচারের উদ্দেশে পৌঁছেছেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রাজ্যে পা রেখেই ত্রিপুরাকে নিজেরই ঘর বলে মন্তব্য করলেন মমতা।
এদিনই ত্রিপুরায় বিশাল জনসভা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অন্যদিকে দুদিনের সফরে রাজ্যে পা রেখেই তৃণমূল সর্বাধিনায়িকা বললেন, “ত্রিপুরা আমার ঘরের মতো। বাংলা যদি আমার প্রথম ঘর হয় তাহলে ত্রিপুরা আমার দ্বিতীয় ঘর।” শুধু তাই নয় ত্রিপুরাকে নিজের ঘর কেন বললেন তারও ব্যাখ্যা দিলেন তিনি।
ত্রিপুরার আগরতলায় দাঁড়িয়ে এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি, এটা আমার নিজেরই ঘর। ত্রিপুরায় এলে মনে হয় যেন নিজের ঘরেই এসেছি। এখানে এলে নিজের ভাষায় কথা বলতে পারি। সেটা খুব ভাল লাগে। এখানকার মানুষদের খাওয়া-দাওয়া, বেশভূষা, চলন-বলন যেমন, আমাদেরও তাই। সবচেয়ে বড় কথা হল, নিজের ভাষায় কথা বলতে পারি।” নেত্রীর সংযোজন, “যখন তোমার কেউ ছিল না তখন ছিলাম আমি। আজ এই কথাটাই বলতে এসেছি।”
পাশাপাশি শাসকদল বিজেপিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দোলনেত্রী। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “ত্রিপুরাবাসীকে একটা কথা বলতে চাই, যখন ত্রিপুরাবাসীর কাছে কেউ ছিল না, বিজেপির অত্যাচার চলছিল, সাংবাদিকদের উপর অত্যাচার চলছিল, আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচার হয়েছে। তখন তৃণমূল পাশে থেকে কাজ করেছে।” জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই দুদিনের সফরে আজ তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির পরিকল্পনা নেই। সেখানে নেত্রী ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে পুজো দেবেন বলেও জানা গিয়েছে।
এদিন কিছুটা পুরোনো সময়ের স্মৃতিতে ফিরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস প্রথম যখন ত্রিপুরায় আসে, তখন আমি ত্রিপুরায় ঘরের মতো থেকে কাজ করেছি। এখানকার সমস্ত জায়গা আমি বাংলার মতোই চিনি। সেই সময় যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের অনেকেই হয়ত হারিয়ে গিয়েছেন। এখনও তাঁদের মনে-মনে খুঁজে বেড়াই।”