বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই দেশে শুরু হয়েছে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের (Bullet Train Project) কাজ। ঠিক সেই আবহেই জানা গিয়েছে যে, এবার মুম্বাই-আহমেদাবাদ হাই স্পিড রেল (MAHSR) করিডোরের প্রথম সেতুটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গুজরাটের ভালসাদের পার নদীর উপর ৩২০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই তথ্য এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এনেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩-এর জানুয়ারি অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানেই এই ব্রিজের অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর সেই ছবিটিই তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। এদিকে, এই সেতু নির্মাণের সাথে যুক্ত একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাই স্পিড করিডোরে যে নির্মাণগুলি তৈরি করা হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে জটিল হল নদীর উপর সেতুর কাঠামো তৈরি। বিভিন্ন দিক মাথায় রেখে তারপরেই এই কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য যে, বুলেট ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে নর্মদা, সবরমতী, মাহি, পার, কাবেরী, পূর্ণা অম্বিকা, দারোথা, দমন গঙ্গা, তাপি, কিম, বিশ্বামিত্রী, মোহর, ভাত্রক এবং মেশওয়ারের মত নদীগুলির উপর দিয়ে এই প্রকল্পের অধীনে মোট ২০ টি সেতু নির্মাণ করা হবে। এদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ হবে গুজরাটের ভারুচ শহরের নর্মদা নদীর উপর ১.২ কিমি দীর্ঘ সেতুটি। পাশাপাশি, তাপি এবং মাহি নদীর ওপর প্রায় ৭২০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ হবে।
বর্তমানে মুম্বাই-আমেদাবাদ হাই-স্পিড রেল দেশের একমাত্র অনুমোদিত হাই-স্পিড রেল প্রকল্প। ৩২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলা এই হাই-স্পিড ট্রেন পশ্চিম ভারত বরাবর মুম্বাই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে ৫০৮.১৭ কিলোমিটার দূরত্ব মাত্র দুই ঘণ্টায় অতিক্রম করবে। এমন পরিস্থিতিতে এই ট্রেন দু’টি টার্মিনাল স্টেশনের মধ্যে বর্তমান ভ্রমণ সময়ের তুলনায় প্রায় ছ’ঘন্টা (ট্রেনের ক্ষেত্রে) থেকে ন’ঘন্টা (বাসের ক্ষেত্রে) সময় বাঁচাবে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এই প্রকল্পটি মহারাষ্ট্রে ১৫৫.৭ কিমি, দাদরা ও নগর হাভেলির মত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৪.৩ কিমি এবং গুজরাটে ৩৪৮.০৪ কিমি রুটে বিস্তৃত থাকবে। পাশাপাশি, মোট স্টেশনের সংখ্যা হবে ১২ টি। তবে, সরকার এখনও এই প্রকল্পের জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারেনি। যদিও, গুজরাটের সুরাট এবং বিলিমোরার মধ্যে ৫০ কিলোমিটারের কাজের ক্ষেত্রে সমাপ্তির সময়কাল ২০২৬ সালের আগস্টে নির্ধারণ করা হয়েছে।