আমি তৃণমূল বিধায়ক বলে…ছবিতে রাজনীতির রঙ লাগানোর চেষ্টা! সোহমের ছবি মুক্তি নিয়ে ধোঁয়াশা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: আগামীকালই মুক্তি পাওয়ার কথা সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty) এবং সায়নী ঘোষ অভিনীত ‘LSD, লাল সুটকেসটা দেখেছেন’। প্রচারও চলছিল জোরকদমে। কিন্তু সমস্যা পিছু ছাড়ে না অভিনেতার। মুক্তির ঠিক আগের মুহূর্তে বড়সড় বিপদে পড়লেন সোহম। সেন্সর বোর্ডের তরফে সার্টিফিকেট পাওয়া নিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় ছবির টিমকে। সোহম অভিযোগ করেছেন, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্যই এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হল তাঁর ছবিকে।

‘LSD, লাল সুটকেসটা দেখেছেন’ ছবিতে অভিনয়ের সঙ্গে প্রযোজনাও করছেন সোহম। বৃহস্পতিবার সকালে সোহমের প্রযোজনা সংস্থার তরফে একটি বার্তায় বলা হয়, শুক্রবার ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা। অথচ বৃহস্পতিবারও এসে সেন্সর বোর্ডের তরফে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।

soham4

ওই বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, অনেকদিন আগেই ছাড়পত্রের জন্য ছবিটি সেন্সর বোর্ডে পাঠানো হয়েছিল। তখন বোর্ডের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ছবির টাইটেল ট্র্যাকে কিছু আপত্তিকর শব্দ এবং সাত আটটি সংলাপ বদলের জন্য। টাইটেল ট্র্যাকে এমন কোনো শব্দ না থাকা সত্ত্বেও বোর্ডের নির্দেশ মেনেই সমস্ত পরিবর্তন করা হয় বলে দাবি সিনেমা নির্মাতাদের।

তবুও সার্টিফিকেট এসে পৌঁছায়নি বোর্ডের তরফে। ছবির কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে কেন? তোলা হয়েছে প্রশ্ন। যদিও পরবর্তীকালে সংবাদ মাধ্যমকে সোহম জানান, বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে সেন্সর বোর্ডের তরফে। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে এই দেরিটা করানো হল। আর সেটা তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে বলেই দাবি সোহমের।

ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক অভিযোগ করেন, তাঁদের ইন্ডাস্ট্রি অরাজনৈতিক। কিন্তু ইচ্ছা করে সিনেমার গায়ে রাজনীতির রঙ লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে এমনটা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সোহমের। তিনি বলেন, সেন্সর বোর্ডের এক সদস্যের তরফে তাঁদের জানানো হয়, এলএসডি, রাধে রাধে, কৃষ্ণ করলে লীলা আমরা করলে বিলা এসব বলা যাবে না। গানে হ্যালুসিনেশন, ওভারডোজ এর মতো শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।

Soham

সোহম বলেন, তাঁরা বারংবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, ছবিটি মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার বার্তা দেয়। কিন্তু কানে তোলেনি সেন্সর বোর্ড। এরপরেই সোহমের বিষ্ফোরক অভিযোগ, তিনি জানতে পেরেছেন, কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে এটা তৃণমূল বিধায়কের ছবি, তাই আপাতত আটকে দেওয়া হোক।

শেষমেষ সার্টিফিকেট পেয়ে গেলেও অনেক দেরি হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন সোহম। তাঁর অভিযোগ, ছবির প্রথম সপ্তাহে ব্যবসা খারাপ করে দেওয়া হল ইচ্ছা করে। নন্দন হাতছাড়া হয়ে গেল। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হলেও রিলিজ পিছিয়ে দিতে হয়েছে বলে জানান সোহম।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর