দেউলিয়া হওয়ার পথে পাকিস্তান! বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে রয়েছে মাত্র ৩ বিলিয়ান, মাথায় হাত শরিফ সরকারের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সাম্প্রতিক সময়ে ভয়ংকর আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। জানা যাচ্ছে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডার একেবারে তলানিতে এসে পৌঁছে গেছে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতো পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডারের দেখভাল করে ওই দেশের প্রধান রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান (SBP)। জানা গেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই অর্থে আর কয়েকটা দিনই চলবে পাকিস্তান।

হটাৎ এই আর্থিক সঙ্কটের জন্য দায়ী ব্যাঙ্কের বাণিজ্যিক ঋণের পরিশোধ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দুটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেয় পাকিস্তান। প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের এই লোন শোধ করতে হয় পাকিস্তানকে। এছাড়া জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ সময়কালে পাকিস্তানের রেমিট্যান্স ১৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৭ বিলিয়ন ডলার কম। রেমিট্যান্স দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার একটি প্রধান উৎস। রেমিট্যান্স হ্রাস পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য একটি বড় ধাক্কা বলা যেতে পারে। দেশের বেশিরভাগ রেমিট্যান্স এখন চোরা পথে আসছে বলে মনে করা পচ্ছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান (SBP) এর বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ সারা বছর জুড়েই ক্রমাগত কমেছে বহিরাগত ঋণ শোধ এবং আমদানির খরচের জন্য।

pakistan crisis imf

পাকিস্তানের অপর একটি সমস্যা খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানের জনসংখ্যার দৈনন্দিন জীবনে এর বড়সর প্রভাব পড়েছে। খাদ্য এবং শক্তি সঙ্কট চরমে উঠেছে পাকিস্তানে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফিতি, বৈদেশিক মুদ্রার অভাব এবং শক্তি সংকট সব মিলিয়ে মানুষের সাধারন চাহিদাগুলির ব্যয় বহন করাও কঠিন করে তুলছে।

অর্থনীতিকে বাঁচানোর প্রচেষ্টার নামে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য দেশ থেকে অতিরিক্ত ঋণ নেওয়ার চেয়ে বেশি কিছুই করেনি। সব মিলিয়ে বলা যায় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান (SBP) এর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুবই কঠিন একটি সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই দেশটির অস্তিত্বের সংকটেও পরিনত হতে পারে এই অর্থনৈতিক সমস্যা।

এরই মধ্যে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারও। সৌদি আরব ও চিন বহু চেষ্টা করেও অর্থিক সংকটের খাদ থেকে তুলতে পারছে না পাকিস্তানকে। উলটে নিত্যদিন বাড়ছে করের বোঝা। টান পড়েছে খাদ্য শস্যতেও। এই অবস্থায় পাক প্রধানমন্ত্রী শহবাজ শরিফ কী সিদ্ধান্ত নেন সেটিই এখন দেখার।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর