বাংলাহান্ট ডেস্ক : সরকারি কর্মীরা (State Government employees) লাগাতার আন্দোলন করছেন তাদের বকেয়া মহার্ঘভাতা বা ডিএ (Dearness Allowance) মেটানোর দাবিতে। গতকাল এই আন্দোলন পড়ে ১৫ তম দিনে। এরই মধ্যে তিন সরকারি কর্মী আমরণ অনশন শুরু করে চাপ বাড়িয়েছেন সরকারের উপর। বিক্ষোভরত সরকারি কর্মচারীরা প্রতিদিন ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে। সরকারি কর্মচারীরা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন ধর্মতলায় শহীদ মিনারের পাদদেশে।
জানা গিয়েছে, তিন সরকারি কর্মচারী এবার ১৫ তম দিনে গিয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে হাঁটলেন চরম পদক্ষেপের পথে। গতকাল থেকে তারা শুরু করেছেন আমরণ অনশন। সরকারি কর্মচারীরা প্রতীকী অনশন করছেন দুই সপ্তাহ ধরে। তাদের রিলে অনশন করতেও দেখা গিয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্ম বিরতির। এরই মধ্যে তিনজন সরকারি কর্মচারী শুরু করেছেন আমরণ অনশন।
প্রথমে দুই জন সরকারি কর্মচারীর অনশনে বসার কথা থাকলেও পরে অনশনে বসেন তিনজন সরকারি কর্মচারী। অনশনরত এক সরকারি কর্মচারী বলেছেন, “এই পদক্ষেপ করতে আমাদের বাধ্য করছে সরকার। যে দুই ন্যায্য মৌলিক অধিকারের দাবিতে আমরা এই আন্দোলন শুরু করেছিলাম তা সরকার মেনে নেয়নি। গত ১৫ দিন ধরে সরকার আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে এই পথ বেছে নিয়েছি। আমরা যতটা যেতে হবে যাব।”
অন্যদিকে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা দাবি করেছেন, দিনে দিনে অনশনরত কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীদের লেখা চিঠি প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীরা বলেছেন, “আমরা তাদের প্রতি আবেদন করেছিলাম পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা যেটা করছেন সেটা তারা যেন না করেন। গত বারো বছর ধরে ভুগছি আমরা।”
একই সঙ্গে তিনি আরোও জানান, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সত্যি কিছু বলেন না। আমাদের পাহাড় প্রমাণ বঞ্চনার কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলাম ত্রিপুরার সরকারি কর্মীদের।” অন্যদিকে, রাজ্যের আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা জানিয়েছেন, ত্রিপুরা সরকারি কর্মচারীরা পশ্চিমবঙ্গের অনশনরত আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তারা পত্র পাঠাবেন।