শুভেন্দু মুখ দেখাতে পারছে না বলেই সুকান্ত রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন! বিস্ফোরক কুণাল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাজেট অধিবেশনে বিধানসভার ভেতরেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্যে। এরই মধ্যে রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose) সাথে একান্ত সাক্ষাতে গেলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখানে প্রায় দু’ঘণ্টা বৈঠক হয় তাদের। একান্ত বৈঠক শেষে সুকান্ত জানান রাজ্যে দুর্নীতি এবং হিংসার কথা উঠে এসেছে আলোচনায়।

সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সুকান্ত বলেন, “রাজ্যপালের সঙ্গে সদর্থক আলোচনা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে হিংসার খবর আমরা তাকে জানিয়েছি। রাজ্যপাল বলেছেন কোনওরকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। হিংসামুক্ত রাজনীতি চান তিনি। এই নিয়ে অর্ডিন্যান্সও জারি করবেন বলে কথা দিয়েছেন। আমি তাকে আবেদন করেছি পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় হিংসা, প্রহসন যাতে না হয়, সেদিকে একটু আলোকপাত করতে। তিনিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এর জন্য যা দরকার তিনি করবেন।”

   

অন্যদিকে, সাক্ষাতের নাম করে রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন সুকান্ত, এমনটাই দাবি তৃণমূলের (TMC) । তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “আমাদের কাছে খবর আছে, সুকান্ত মজুমদার রাজ্যপালের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন।” বিধানসভার সেই দিনের ঘটনার পর শুভেন্দু অধিকারী মুখ দেখাতে পারছেন না বলেও মন্তব্য করেন কুণাল।

মুখপাত্রের কথায়, “রাজ্য যেমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তেমন রাজ্যপালও দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশ চান। এটা আর নতুন কি। সি ভি আনন্দ বোস তো সংবাদমাধ্যমে যথেষ্ট কথা বলেন। তার আপ্ত সহায়কও আছে। তাহলে সুকান্ত মজুমদার কি তার নতুন PRO নাকি? উনি এসে রাজ্যপালের কথাগুলো বলছেন কেন? আসলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে, সুকান্ত মজুমদার করজোড়ে রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন। ”

kunal ghosh

পাশাপাশি তার সংযোজন, “শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সেদিন বিধানসভায় যে ধরণের অসভ্যতা হয়েছিল তারপর থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আর মুখ দেখাতে পারছেন না। রাজভবনে সে কারণেই সুকান্ত তাকে নিয়ে আসেননি।” প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপালকে ঘিরে নজিরবিহীন বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি বিধায়করা! বাংলায় বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই রাজ্যপালের ভাষণকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর।

তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধীরা। ক্রমাগত চোর ধরো জেল ভরো শ্লোগান তুলতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। প্রায় ২০ মিনিট ধরে বিধানসভার ভিতরে বিক্ষোভের পর বাইরেও চলে বিক্ষোভ। এদিন রাজ্যপালের বক্তব্যের শুরু থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর। এদিন সুকান্তর সাক্ষাতের ব্যাখ্যা দিয়ে গিয়ে এই প্রসঙ্গই তুলে আনলেন তৃণমূল মুখপাত্র।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর