‘দেখে যান ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, বাড়ির হাল ‘, প্রমান দেখিয়ে অভিষেককে পাল্টা চ্যালেঞ্জ পঞ্চায়েত প্রধানের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শনিবার কোচবিহারের (Coochbehar) মাথাভাঙ্গায় বিশাল জনসভা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন নিজের বক্তব্যে মাথাভাঙা-২ ব্লকের ঘোকসাডাঙা (Ghoksadanga) গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের (Panchayat Pradhan) ওপর একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল নেতা। এবার প্রমান দিয়ে পাল্টা অভিষেককে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন সেই পঞ্চায়েত প্রধান।

প্রসঙ্গ, কোচবিহার জেলায় ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। যার মধ্যে মধ্যে একটি মাত্র পঞ্চায়েত বিজেপির (BJP) দখলে। এদিন মাথাভাঙ্গার মঞ্চে দাঁড়িয়ে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি বর্মণের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন অভিষেক। তার অভিযোগ, ঘোকসাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান নিজের স্বামীর নামে জব কার্ড করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তার স্বামী এবং কাকাশ্বশুরের নামও আবাসের তালিকায় রয়েছে। এই বলেই প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলেন তিনি।

   

অন্যদিকে, অভিষেকের অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করে তার সভার শেষের ২ ঘন্টার মধ্যেই তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডোকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন দীপ্তি বর্মণ। নিজের টিন ও মাটির বাড়ির ছবি তুলে তার অভিযোগ, পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে তৃণমূল। গতকালের সভায় অভিষেক বলেন, ‘‘২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের পর কোচবিহারের ১২৮টি পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র একটি পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে ছিল। মাথাভাঙা-২ ঘোকসাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি বর্মণ কী করেছে জানেন?”

এরপরেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অভিষেক বলেন, “তিনি পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে আগে কী করেছে জানেন? প্রথমে তার স্বামী রতন বর্মণের নামে জব কার্ড করেছেন। শুধু তাই নয় শ্বশুরের নামে বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় এনেছেন। স্বামীর কাকার নামেও একটি বাড়ি আবাস তালিকায় নথিভুক্ত করিয়েছেন।’’

অভিষেকের এই অভিযোগে পাল্টা নিজের টিন ও মাটির বাড়ি দেখিয়ে দীপ্তি বলেন, ‘‘দেখুন আমাদের বাড়ি এই রকম। আমার স্বামীর নাম আবাসের তালিকায় আছে। কিন্তু সেই তালিকার জন্য যে সার্ভে হয়েছিল, সেটা ২০১৮ সালের। পরে দেখলাম, তালিকায় আমাদের নামও আছে। এখন ১৬০টি বাড়ির তালিকা এসেছে।’’

panchyat pradhan

প্রধানের সংযোজন, “ওরা (তৃণমূল) ভুল বুঝিয়ে আমাদের ২ পঞ্চায়েত সদস্যকে তৃণমূলে নিয়ে গিয়েছিল। পঞ্চায়েত দখল করতে না পেরে এখন বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করছেন।’’ এখানেই শেষ নয় এরপর অভিষেককে তোপ দেগে দীপ্তি বলেন, ‘‘দেখে যান আমার কিংবা আমার স্বামীর ব্যাঙ্ক ব্যালান্স। দেখি নিন আমাদের জমির হিসেব। প্রমাণ না দেখিয়ে শুধু অভিযোগ করছেন ওরা।’’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর