বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার পাকিস্তানের (Pakistan) ২৭ বছর বয়সী এক হিন্দু মহিলা অনন্য রেকর্ড স্থাপন করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি এমন একটি পরীক্ষায় সফলতা লাভ করেছেন যেটিতে ১৯৭৪ সাল থেকে কোনো পাকিস্তানি হিন্দু মহিলা পাশ করতে পারেননি। আর সেই কারণেই সেখানে স্থিত হিন্দুরাও অত্যন্ত খুশি হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সানা রামচাঁদ গুলওয়ানি পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও সম্প্রতি তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও প্রশাসক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। পাশাপাশি, বাবা-মায়ের ইচ্ছেপূরণের জন্যও তিনি অনেক কিছু করেছেন। বর্তমান প্রতিবেদনে সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।
অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হলেন হিন্দু মহিলা: উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের পাঞ্জাবে বসবাসকারী সানা সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিসেস (CSS) পরীক্ষা ২০২০-তে সাফল্য অর্জন করে রীতিমতো ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। এই প্রসঙ্গে “ডন” পত্রিকায় বলা হয়েছে, তিনি এটক জেলার হাসান আবদাল শহরে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রতিবেদন মারফত আরও জানা গেছে যে, সানা তাঁর প্রথম প্রচেষ্টাতেই এই পরীক্ষাটি পাশ করেছেন। সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের একাধিক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, দেশভাগের পর থেকে তিনি এই সম্প্রদায়ের প্রথম পাকিস্তানি মহিলা যিনি এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
সানা পাশ করার পর কি জানিয়েছেন: মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, সিন্ধু প্রদেশের শিকারপুর শহরে বসবাসকারী সানা ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দেওয়ার আগে তাঁর বাবা-মায়ের ইচ্ছায় ডাক্তার হয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে, এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে সানা বলেন যে, “আমি প্রথম কিনা জানি না, তবে আমি আমার সম্প্রদায়ের কোনো মহিলার পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়ার কথা শুনিনি।”
ডাঃ সানা রামচাঁদ গুলওয়ানি সম্পর্কে জানুন এই তথ্য: সানা প্রথম প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষা সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিসেস (CSS) পাশ করে ফেলেন। তবে, সানা মোহতারমা বেনজির ভুট্টো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে MBBS-ও পড়েছেন। এর পরে তিনি আরও পড়াশোনা চালিয়ে যান। জানা গিয়েছে, তিনি ইউরোলজি নিয়ে অধ্যয়ন করেছেন। তারপরে তিনি ফেডারেল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় নির্বাচিত হন।