প্রেম দিবসে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতে দিতে বাধা, চতুর্থ স্ত্রীকে খুন স্বামীর! চাঞ্চল্য করিমপুরে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একবার বা দু’বার নয়, বিয়ের ফুল ফুটেছিল চারবার। তৃতীয় স্ত্রী সম্পর্কে এলাকাবাসীদের তেমন ধারণা না থাকলেও বাকী তিন স্ত্রীকে হাড়ে হাড়ে চেনেন প্রতিবেশীরা। শুধু তাই নয়, খুব ভালো করেই জানেন ‘ক্যাসানোভা’ টনির কথাও। নিত্যনতুন বাইক, দামি মোবাইল, চোখ ধাঁধানো পোশাক ব্যবহারে অভ্যস্ত এই টনির জীবনেই এবার প্রেম দিবসের আগে ঘটে গেল বড়সড় বিপত্তি।

জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ তে স্পেশাল টাইম কাটানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করায় বাধ সেধেছিলেন চতুর্থ স্ত্রী। ফলে, রাগের মাথায় এবার নিজের হাতেই তাকে খুন করল টনি। সোমবার এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গিয়েছে নদিয়ার থানারপাড়া এলাকার হায়তাপাড়া গ্রামে। নিহত চতুর্থ স্ত্রী হলেন রুবিয়া বিশ্বাস (২৬)। ইতিমধ্যেই, নিহত বধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশের তরফে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, নিহত রুবিয়ার পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত স্বামী-সহ মোট ৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি তাদের আরও অভিযোগ, রুবিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে সেটাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টাও করছেন টনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। রুবিয়ার মা নাদিরা বিবি মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘টনির একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ও অত্যন্ত খারাপ চরিত্রের মানুষ। আমার মেয়েকে খুন করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে। ওর ফাঁসি চাই।’’

যদিও টনির বাবা শহিদুল মণ্ডল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘বাড়িতে অশান্তির জেরে বৌমা আত্মহত্যা করেছেন। এখানে আমাদের কী দোষ!’’ তবে, কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায়ের পক্ষ থেকে আশ্বাসবাণী মিলেছে। তিনি বলেন, ‘‘তরুণীর পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’’

Nadia murder

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অবস্থাপন্ন পরিবারে জন্ম টনির। পণ্য পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে দীর্ঘ দিন থেকে তিনি যুক্ত। রুবিয়ার পরিবারের সদস্যদের দাবি, প্রাক্তন দ্বিতীয় স্ত্রীর আবদার রাখতে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে তাঁর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেছিল টনি। তাঁদের আরও দাবি, রুবিয়া সেই পরিকল্পনা টের পেয়ে প্রতিবাদ জানাতেই পিটিয়ে এবং গলা টিপে খুন করে টনি।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর