দিল্লিতে ফের নৃশংস হত্যা! ফ্রিজে মিলল ২৫-এর তরুণীর মৃতদেহ, গ্রেফতার লিভ ইন পার্টনার সাহিল

বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রথমে শ্রদ্ধা ওয়ালকর (Shraddha Walker Murder Case), তারপর নিক্কি যাদব (Nikki Yadav Murder Case)। তফাৎ শুধু কয়েকটা মাসের। আফতাবের হাতে তার প্রেমিকা শ্রদ্ধার মর্মান্তিক হত্যার (Delhi Murder Case) রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি সমাজ। ফের একটা দেশকে নাড়া দিল আর এক রেফ্রিজারেটর কাণ্ড। আবারও রাজধানীর বুকে রেফ্রিজারেটর থেকে উদ্ধার হল তরুণীর দেহ।

এ বার দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লির নজফগড় এলাকায় একটি ধাবার ফ্রিজ থেকে পাওয়া গেল ২৫ বছর বয়সি এক তরুণীর মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান তিন দিন আগেই দিল্লির উত্তম নগরের বাসিন্দা ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে ধাবামালিক সাহিল গেহলোটকে। জানা যাচ্ছে তাঁর সঙ্গে নিহত তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

   

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, ‘অন্য তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সাহিলের। এই কথা তার প্রেমিকা জানতে পারার পরই তিনি বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন সাহিলকে।’ অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে মেজাজ হারিয়ে নিজের প্রেমিকাকে খুন করে সাহিল। তার পর তা লুকিয়ে রাখে ধাবার ফ্রিজের মধ্যেই। উদ্ধার করা দেহ অটোপ্সির জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস।

পুলিস সূত্রর খবর, ধাবার মালিক সাহিলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হরিয়ানার ঝঝঝরের বাসিন্দা নিক্কির। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে ধাবার মালিক ২৪ বছর বয়সি সাহিল গহলোটকে। পুলিসের দাবি, সাহিলের হাতে ২-৩ দিন আগেই খুন হয়েছেন নিক্কি। ওই তরুণীর গলায় মোটা তার পেঁচিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে জানতে পেরেছে পুলিসের। তার পর তাঁর দেহ ভরে রাখা হয় ধাবার বড় ফ্রিজারে। পুলিসের জেরায় সাহিল জানিয়েছে ৫ বছর আগে জানুয়ারি মাসে উত্তমনগরে তাদের দুজনের আলাপ। সেখানে একই কোচিং সেন্টারে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা। একই বাসে কোচিং ক্লাসে যাওয়া আসার পথেই প্রেমে পড়ে নিক্কি ও সাহিল।

nikki 2

এর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নয়ডার গলগোটিয়া কলেজে আলাদা আলাদা শাখায় তারা ভর্তি হয় দুজনে। থাকতে শুরু করে ভাড়া করা একটি ফ্ল্যাটে। লিভ ইন করার সময়ই মানালি, হৃষিকেশ, হরিদ্বার, দেহরাদুন-সহ একাধিক জায়গায় তারা বেড়াতেও যায় যুগলে। কিন্তু এই এরই মধ্যে বাড়িতে বিয়ে ঠিক হয়ে যায় সাহিলের। এটা মানতে পারেননি নিক্কি। পুলিস জানতে পেরেছে তিনি বিয়ে করার জন্য চাপ দিতেন সাহিলকে। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া অশান্তি লেগেই থাকত।

পুলিসের দাবি, জেরায় সাহিল জানিয়েছে ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মাঝের রাতে তার মোবাইলের ডেটা কেবল নিক্কির গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। তার পর ধাবার ফ্রিজে রেখে দেয়। পর দিনই ছিল তার বিয়ে। প্রেমিকাকে খুন করে নিথর দেহ ফ্রিজে রেখে বাড়ি ফিরে যায় সাহিল। সেখানে গিয়ে আবার বিয়েও করে পরিবারের পছন্দ করা অন্য আর এক তরুণীকে। এরপরই পুলিসের কাছে ধরা পরে যায় সাহিল।

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর