বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গের দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে দল বদলের হিড়িক। এবার ফের বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ বিজেপির দাপুটে নেতা সহ কর্মীদের। আর সেই ভাঙ্গন স্থল একেবারে অধিকারী গড়। মঙ্গলবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কেন্দ্র নন্দীগ্রামের প্রভাবশালী নেতা পদ্ম ছেড়ে নাম লেখালেন জোড়াফুলে।
সূত্রের খবর, গত বিধানসভা ভোটে যার হাত ধরে ভেকুটিয়া অঞ্চলের জেলেমারি গ্রামে বিজেপি ক্ষমতা বিস্তার করেছিল, সেই মণ্ডল কমিটির নেতা এবং মণ্ডল সভাপতির ভাই এদিন শাসকদলের পতাকা হাতে তুলে নেন। সাথেই শাসকদলের যোগ দেন বিজেপির বহু কর্মী। এদিন তৃণমূল মুখপাত্র তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) হাত ধরে দলবদল করেন এই বিজেপি নেতারা।
প্রসঙ্গত, ভেকুটিয়া এবং হরিপুরে এদিন তৃণমূলের দু’টি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কুণাল ঘোষের সেই সভায় ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত। রাজ্য সরকারি প্রকল্প গুলিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন মুখপাত্র। এদিন সভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের মূল্যবৃদ্ধি নীতির তীব্র প্রতিবাদ জানান তৃণমূল মুখপাত্র।
পাশাপাশি, একই সঙ্গে বিরোধী দলনেতাকে তোপ দেগে কুণাল বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে লোডশেডিংয়ে দুনম্বরি করে জেতা বিধায়ক। মামলা থেকে নিস্তার পেতে লোকসভা ভোটে অন্যত্র প্রার্থী হতে চাইছে শুভেন্দু। কিন্তু সেখানেও আমরা ওকে গো-হারা হারাব। এখানেও হারবে, সেখানেও হারবে।’’
অন্যদিকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে মণ্ডল কমিটির নেতা এবং মণ্ডল সভাপতির ভাই জানান,
‘‘শুভেন্দুর কথায় বিভ্রান্ত হয়ে তৃণমূল ছেড়ে ধর্মের নামে রাজনীতি করতে গিয়ে গ্রামে বিভেদ তৈরি করেছি। এই পাপ থেকে মুক্তি পেতে এবং মানুষের সেবা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে ফিরে এলাম।’’