বাংলা হান্ট ডেস্ক : ক্ষমতায় ফিরে আসতে জান লড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি। সিপিএম-কংগ্রেসও এবার কোমর বেঁধে নেমেছে লড়াইয়ের ময়দানে। উদ্ধার করতেই হবে পুরনো জমি। সবেমিলিয়ে কড়া নিরাপত্তায় শুরু হয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভার (Tripura Bidhan Sabha Election 2023) ৬০ আসনে ভোটগ্রহণ। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে ইন্ডিজেনাস পিপিলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা বা আইপিএফটি। লড়াইয়ে রয়েছে তিপ্রা মোথা। সকাল সাতটার ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও গোলমালের খবর নেই।
নির্বাচনের আগের দিন উমাকান্ত একাডেমি কেন্দ্রটি নিজে পরিদর্শন করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে। কথা বলেন ভোটকর্মীদের সঙ্গেও। পরে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে জানান, প্রত্যেকটি পোলিং স্টেশনে বয়স্ক, দিব্যাঙ্গজনদের জন্য আলাদা ভোটার লাইন করা হয়েছে। র্যাম্প, রেলিং, পানীয় জল, শৌচালয়, বিশ্রামাগার এবং বিদ্যুতেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নির্বিঘ্নে ভোট পরিচালনার জন্য ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অশান্তি এড়াতে কড়া নিরাপত্তার আয়োজন এবং চাপা উত্তেজনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ত্রিপুরায় বিধানসভার ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় সব রকমের পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অবশ্য বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট এবং তৃণমূলের তরফে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে বুধবার থেকেই ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। রেকর্ড সংখ্যায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও। এর আগে প্রচারে এসে বারবার রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকারের বার্তা দিয়েছিলেন মোদি।
আজ সকালেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। রাজ্যবাসীকেও অবাধে নিজের নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি। ভোট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘সাধারণ মানুষ আমাকে প্রশ্ন করছেন যে আমার সামনে কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে? চ্যালেঞ্জটা হল কংগ্রেস ও বামের জোট বেঁধেছে। এই জোট যেন শান্তি বিঘ্নিত না করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভালো লাগছে। আমি সকল ভোটারকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’ পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, ‘আমি সকালে শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রার্থনা করে ঘর থেকে বেরিয়েছি। দেখবেন মানুষ ভোট দিতে এসেছে। আমি নিশ্চিত যে এখানে বিজেপি আবার সরকার গঠন করবে।’