বাংলাহান্ট ডেস্ক : পেট্রল-ডিজেলের (Petrol Diesel) মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাজেহাল আমজনতা। এদিকে, জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর (Essential commodities)। এবার এই পরিস্থিতির মধ্যেই তেলের দামে জিএসটি (GST) লাগু করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের মন্তব্যে একপ্রকার স্পষ্টই হয়ে গিয়েছে যে, রাজ্যগুলি রাজি হলে পেট্রল, ডিজেল-সহ জ্বালানি তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর জিএসটি বসানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, ‘‘জিএসটি পরিষদের ছাড়পত্র পেলেই পেট্রলজাত পণ্যে জিএসটি চালু হতে পারে।’’ তবে পেট্রোপণ্যের উপরে কত শতাংশ জিএসটি বসতে পারে, সে সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্মলার নেতৃত্বে জিএসটি পরিষদের ৪৯তম বৈঠক। তার আগে বণিকসভা পিএইচডি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (পিএইচডিসিসিআই) বাজেট-পরবর্তী আলোচনাসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে বণিক ও শিল্পমহলের একাংশ।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, জিএসটি চালু হওযার প্রায় পাঁচ বছর পরেও জিএসটির আওতার বাইরে যে সমস্ত পণ্য রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম পেট্রল, ডিজেলের মতো জ্বালানি। কেন্দ্রের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, এ বার পেট্রোপণ্যগুলিকে এই কর ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করার প্রয়োজন আছে। কয়েক বছর আগে কেরল হাই কোর্ট পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতাভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে ভেবে দেখতে বললেও এখনও পর্যন্ত জিএসটির আওতার বাইরে রয়েছে পেট্রল, ডিজেলের মতো জ্বালানি।
এদিকে, কয়েক বছরে একাধিকবার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বারংবার বিরোধীরা তোপ দাগলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা পাল্টা আঙুল তোলেন রাজ্যের যুক্তমূল্য করের (ভ্যাট) দিকে। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, জ্বালানি তেলে জিএসটি চালু হলে আমজনতার দুর্ভোগ কমবে। এর ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে পেট্রল, ডিজেলের দাম। যদিও তাতে কর ভাগাভাগি কেমন হবে তা স্পষ্ট নয়। যা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে কেন্দ্র-রাজ্যে।