বাংলাহান্ট ডেস্ক : চলছে ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১৩’। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে জমে উঠেছে রিয়েলিটি শো-এর মঞ্চ। এই সিজনে মঞ্চ ভরেছেন বাঙালি প্রতিযোগীরা। বিদিপ্তা, সোনাক্ষী, সেঁজুতি এবং দেবস্মিতার উপরেই ভরসা রেখেছেন গোটা বাংলার মানুষ। ২০২১ সালের সারেগামাপা এর মঞ্চেও দেখা গিয়েছিল একই দৃশ্য। কিঞ্জল চট্টোপাধ্যায়, দীপায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলাঞ্জনা রায়, অনন্যা চক্রবর্তী, রাজশ্রী বাগ আর স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিকের মধ্যে লড়াই হলেও জয় ছিনিয়ে নেন নীলাঞ্জনা রায়।
‘ইন্ডিয়ান আইডল ১৩-তে বিচারকদের মঞ্চে বসেছেন বিশাল ডাডলানি, নেহা কক্কর, হিমেশ রেশমিয়া। সম্প্রতি এই রিয়েলিটি শো তে হাজির হয়েছিলেন কুমার শানু। সকলের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে ওঠেন তিনি। তবে সংগীতশিল্পীর মন জয় করে নেন সেঁজুতি। এদিন কুমার শানু বলেন,’ তোমার মত সংগীতশিল্পী ভীষণ প্রয়োজন। ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলা কম্পোজারের সংখ্যা খুবই কম। খুবই ভালো লাগছে এটা জানতে পেরে যে তুমি গানের পাশাপাশি কম্পোজিশনের বিষয়টাও মাথায় রেখেছো’।
হাওড়ার বেলুড়মঠের মেয়ে সেঁজুতি দাস। একেবারে গঙ্গার পাশেই তাঁর বাড়ি। সাধারণত বলিউড ক্লাসিক্যাল আর সেমী ক্লাসিকাল গান গাইতে ভালোবাসেন তিনি। যদিও সব ধরণের গান তাঁকে গাইতে শোনা যায়না রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে। বর্তমানে এই রিয়েলিটি শো-তে বহু চর্চিত প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সিং এবং সেঁজুতি দাস। গ্রান্ড ফিনালেতে অবশ্যই জায়গা পাবেন তাঁরা এমনটাই মনে করছেন দর্শকরা। তবে শেষের হাসিটা কে হাসে এখন সেদিকেই নজর সকলের।
উল্লেখ্য, বিগত সিজনে শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর মেয়ে অরুণিতা কাঞ্জিলাল। যদিও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন তিনি। প্রথম স্থান ছিনিয়ে নেন পবনদীপ রাজন।